বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন খুবি’র ইসিই বিভাগের অনিয়মের প্রতিবাদ

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একাডেমিক ও প্রশাসনিক নানা অনিয়মের প্রতিবাদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের প্রধান (চেয়ারম্যান) অধ্যাপক সেহরীশ খান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল দুপুরে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার দিন থেকে বিভাগের সাবেক প্রধান ড. মনিরুজ্জামান তার সঙ্গে চরম অসহযোগিতা করেন। একজন নারী শিক্ষক হিসাবে তার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে প্রধানের পদ থেকে নেমে যেতে হুমকি দিয়েছেন। তাকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকও উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে প্রধানের পদত্যাগের দাবীতে শিক্ষার্থীরা বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ক্লাস বর্জন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ৬ আগস্ট তিনি নিয়ম অনুযায়ী ইসিই বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার সময় পূর্ববর্তী বিভাগীয় প্রধান ড. মনিরুজ্জামান তার কাছে বিভাগের ব্যাংক একাউন্টের হিসাব, ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদী এবং বিভাগের যাবতীয় নথিপত্র বুঝিয়ে দেননি। বিগত দিনে বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক তারিক হাসান স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোর্সটির পরীক্ষা না নিয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করে দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের কোন তদন্ত না করে ড. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে আটজন শিক্ষক তাকে একটি চিঠি দিয়ে তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ বিষয়টির প্রতিবাদ করলে ড. মনিরুজ্জামান তাকে চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক তাকে হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি ৯ জানুয়ারি খুলনার হরিণচানা থানায় একটি জিডি করেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ড. মনিরুজ্জামান ইতোপূর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দুই বার বিএনপি’র প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। অথচ এখন তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের শিক্ষক মতাদর্শের দাবি করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ড. মনিরুজ্জামান ইতোমধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঐ সময় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ২৭ জুন থেকে শিক্ষার্থীরা প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখে। বিষয়টি নিয়ে তিনি চ্যান্সেলর প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ, ভিসি অধ্যাপক ড. ফায়েক-উজ-জামান ও বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডীন ড. ইসমত কাদিরের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এই অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হোক যে বিভাগ পরিচালনায় তার কোন অনিয়ম রয়েছে কী-না। তিনি ড. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগ পরিচালনায় অনিয়ম তদন্তের দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসিই বিভাগ থেকে তিনি বাংলাদেশে নারী হিসাবে প্রথম উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ বিভাগে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করছেন। এ অবস্থায় একজন নারীকে এভাবে হেয়প্রতিপন্নকারী চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন