মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পার্বতীপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শেষ হতে না হতেই ধরেছে শেওলা

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এম এ জলিল সরকার : দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্স তৈরিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব। জানা যায়, পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে নির্মাণ শেষ হতে না হতেই শেওলাও ধরেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন এসে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অর্ধ শতাধিক ত্রুটি দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজের ঠিকমত তদারকি না করায় এলজিইডি’র প্রকৌশলীদের উপর ক্ষুব্ধ হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম, এলজিইডি’র জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এক্সইএন) খলিলুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী রায়হানুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাড. আব্দুল হাই, কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ এন্টারপ্রাইজের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। পার্বতীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার অ্যাড. আব্দুল হাই জানান- প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সালের প্রথমার্ধে শহরের নতুন বাজারে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দিনাজপুর জেলা শহরের বিদ্যুৎ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনটি নির্মাণ করছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কাজও হয়নি। অথচ অধিকাংশ টাকা তুলে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তিনি আরও জানান, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি বার বার তাগিদ দেয়ার পরও রহস্যজনক কারণে এলজিইডি’র জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীরা গুরুত্ব দেননি। বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সচিব আব্দুল মান্নান সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনে সময় সচিব দেখতে পান ভবনের বিভিন্ন কক্ষের দরজাগুলোয় প্রসেসিং কাঠ ব্যবহারের পরিবর্তে লাগানো হয়েছে অপরিপক্ব কাঠ। মেঝের টাইলস অসমতল, জানালার গ্রীল-থাই, দরজা সবকিছুই নিম্নমানের। জানালার থাই-গ্লাস ভেদ করে কক্ষগুলোতে বৃষ্টির পানি ঢুকছে।
অধিকাংশ পার্টিশন ওয়ালে ধরেছে নোনা।
কমপ্লেক্স ভবনের মার্কেটের দোকানগুলোতে ২০ মিলিমিটার প্লেনশীটের পরিবর্তে ২৪ মিলি প্লেনশীট ব্যবহার করে সাটার লাগানো হয়েছে। দরজা, জানালা ও টয়লেটগুলো নির্মাণ করা হয়েছে নকশা বহির্ভূতভাবে। সীমানা প্রাচীরের উচ্চতাও ২ ফুট কমিয়ে দেয়া হয়েছে। কমপ্লেক্সের বাইরের আঙ্গিনায় যে ঢালাই দেওয়া হয়েছে সে রডগুলো অনেক ফাঁকা ফাঁকা। তদন্ত হলেই থরের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে! এভাবে অর্ধ শতাধিক ত্রুটি সচিব নিজেই চিহ্নিত করে তা পরিবর্তন ও পুনঃনির্মাণ করে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন