শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা ঠেকাতে মার্কেটের সামনে প্রশাসন

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২০, ৪:৫২ পিএম

শেষ রমজানে দোকান খুলতে চেয়েছিলেন রাজশাহীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এনিয়ে তারা ওই এলাকায় এক ম্যাজিস্ট্রেটকে জানায়। তবে তিনি দোকান খোলার বিষয়টি নাকজ করে দিয়েছেন। ফলে শেষ রমজানেও নিরাশ হন ব্যবসায়ীরা।

তারা দাবি করেন একদিন দোকান খোলার। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান খুলেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনাভাইরাসের এসময় সবাইকে নিরাপদে রাখার জন্যই বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে মার্কেট।

ঈদের পোশাকের কেনাকাটা ঠেকাতে মার্কেটের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নিয় পুলিশ-প্রশাসন। রোববার নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার এলাকায় তারা অবস্থান নিয়ে বাজারে যাওয়া মানুষকে ঘরে পাঠায়।

এছাড়া সাহেববাজারের প্রবেশমুখ পিএন স্কুলের সামনে এবং রাজশাহী কলেজের সামনে সড়কে আড়াআড়িভাবে গাড়ি রেখে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গণকপাড়া এলাকায় ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। সকালে তারা সাহেববাজারে কোনো ধরনের যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়নি।
এদিকে নগরীর আরডিএ মার্কেটের সামনে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে কাকডাকা ভোরে নগরীর জিরোপয়েন্ট ও গণকপাড়া এলাকায় ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতারা বিক্রি শুরু করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উঠিয়ে দেয়। এ দিন দোকান খোলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।

তবে জেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে দোকান খুলতে নিষেধ করেন। সাহেববাজার এলাকার বিভিন্ন ফুটপাতের ব্যবসায়ীদেরও দোকান না খোলার জন্য বলা হয়। তখন ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে অনড় থাকেন জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঘোষণা দেন, দোকান খুললেই হবে জরিমানা। ফলে শেষ পর্যন্ত কেউ দোকান খোলার সাহস পাননি। পুলিশ-প্রশাসন আরডিএ মার্কেটের সামনেই অবস্থান করছিলেন। তবে মুদি দোকানগুলো খুলতে বাধা দেয়া হয়নি।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধাস্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা। এ অবস্থায় গত ১৮ মে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় ওষুধ, জরুরি সেবা, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর মঙ্গলবার থেকে নগরীতে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিনাপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করলে জরিমানার পাশাপাশি রাস্তায় ১৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তিও দেয়া হচ্ছে। ঈদের আগের দিন হওয়ায় রোববার আরও কড়াকড়ি করতে দেখা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন