ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের চাঁদ দেখার পরপরই পাড়া-মহল্লার রাস্তা বের হয়ে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা উৎসব শুরু করেন। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা থাকে নতুন জামা পড়ার, প্রস্তুতি চলে ঈদের দিনে প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়ার, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের। ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি, একে অপারের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ঈদ উৎসবের চিরন্তন চিত্র। তবে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বদলে দিয়েছে এর সবকিছুই। ইতিহাসে প্রথমবার এক ব্যতিক্রমী ঈদ উৎসব দেখছে বিশ্ববাসী। নামাজের জন্য যাওয়া হয়নি ঈদগাহে, কারো সাথে করা হচ্ছে না কোলাকুলি। একে অপরের বাড়িতে গিয়েও খাওয়া হচ্ছে না ফিরনি, সেমাই, পোলাও কোরমা। পরিবারের সদস্যরা নিজেরা নিজেদের বাড়িতে কিংবা পার্শ্ববর্তী মসজিদে গিয়ে পড়েছেন ঈদের নামাজ। দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলেছেন একে অপরের সাথে।
তবে প্রযুক্তির বিপ্লবের কারণে দূরে থেকেও কাছে থাকার চেষ্টা করেছেন সকলেই। ঈদের আগেদিন থেকেই প্রিয়জনদের ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে থাকেন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই। মুঠোফোনে এসএমএস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবারে অনবরত চলছে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। মোবাইল ফোন কল করে কিংবা ভিডিও কলেও কথা বলছেন একে অপরের সাথে। ফেসবুকে প্রত্যেকের ওয়ালেই ঝুলছে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা। কেউবা জানাচ্ছেন ঈদের শুভেচ্ছা ‘ঈদ মোবারক’। কেউবা ঈদের শুভেচ্ছার সাথে সাথে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন করোনা থেকে বেঁচে থাকার সতর্ক বার্তা। পরামর্শ দিচ্ছেন নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরোয়াভাবে ঈদ উদযাপনের এবং নিরাপদে থাকার। কাছের কিংবা দূরের, দেশে অথবা বিদেশের যে যেখানেই আছে সেখান থেকেই ভার্চ্যুয়াল জগতে চলছে অবিরাম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বন্ধুরা ভিডিওতে জমিয়েছেন আড্ডা। পাশাপাশি কে কিভাবে ঈদের নামাজ আদায় করছেন, কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন তাও তুলে ধরছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবে এসবের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণকারী এবং সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা ঘুর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সমবেদনা জানান অনেকে। ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদের দিনে বিবর্ণতা, কষ্ট ও সমস্যার কথা তুলে ধরে কেউ কেউ দিয়েছেন স্ট্যাটাস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন