শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা: ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৬

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২০, ২:২৬ পিএম | আপডেট : ৩:৩৭ পিএম, ২৬ মে, ২০২০

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫২২-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৬৬ জন। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৬ হাজার ৭৫১ জনে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি ৪৮টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ৪ হাজার ৪১৬ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৪০৭টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১ জনের। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১১৬৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৫১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। এদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ৪ জন এবং বরিশাল বিভাগে ২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন এবং বাসায় মারা গেছেন ১ জন। মৃত্যুর বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ১ জনের বয়স ০-১১ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৫২২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ৫৭৯ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৫২ জনকে। এই সময়ে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৮ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৫ জনকে। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জন। বর্তমানে কোয়ারান্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ৯৮৯ জন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬৬২টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

একই সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১৮২ জনকে। এ সময় ছাড় পেয়েছেন ৬৫ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৩২৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৭৭০ জন। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। আরও ৭০০টি শয্যার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০৬টি।

দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ২৮ জনের। যা ২৪ মে’র বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড এক হাজার ৯৭৫ জনের। ওই তথ্য জানানো হয়, ঈদের দিন ২৫ মে'র বুলেটিনে।

এছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়।

এদিকে দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১ জন ও ২০ মে ১৬১৭, ২১ মে ১৭৭৩, ২২ মে ১৬৯৪, ২৩ মে ১৮৭৩, ২৪ মে ১৫৩২ ও ২৫ মে ১৯৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন