দীর্ঘ আড়াই মাস পর আজ বুধবার থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে প্রবাসী কর্মীদের পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়েছে। মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দরুণ গত ১৮ মার্চ থেকে দূতাবাস বন্ধ থাকায় প্রবাসী কর্মীরা এতো দিন পাসপোর্ট পায়নি। এতে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। পাসপোর্টের জন্য প্রবাসী কর্মীদের মাঝে চলছে হাহাকার। মালয়েশিয়া সরকার মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) কার্যকর থাকায় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল থেকে পাসপোর্ট বিতরণ শুরু হয়। হাই কমিশন সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
কুয়ালালামপুরস্থ ১৬৬ জালান বেসার, পেকান আম্পাংয়ে অবস্থিত হাইকমিশন অফিস থেকে এ সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান কাউন্সিলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার।
গত ১৯ মে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে পাসপোর্ট বিতরণ সংক্রান্ত শর্তাবলী জুড়ে ডেপুটি হাইকমিশনার ও দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাইকমিশনে আসার সময় অবশ্যই মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে আসতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় থাকলে হাইকমিশনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সর্বক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাসপোর্ট সংগ্রহের নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় ব্যতীত অর্থাৎ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কাউকে অফিসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
হাই কমিশন সূত্র জানায়, সকল চাহিদাকৃত কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে আবেদনের সঙ্গে প্রেরিত মোবাইল নম্বরে হোয়াইসঅ্যাপ বা মেসেজের মাধ্যমে ডেলিভারি স্লিপ পাঠিয়ে দেয়া হবে।