নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের গাছ কেটে ‘স’ মিলে পাঠনোর প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আড়বাব ইউপির সালামপুর বাজার এলাকায় স্থানীয় শতাধিক লোকজন এই মাববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে রাতেই লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যা আমিরন বেগম।
এর আগে দুপুরে আড়বাব ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ মেহেরুল ইসলাম ঝড়ে ভেঙ্গেপড়া একটি শিশুগাছ ভ্যান যোগে সালামপুর বাজারস্থ আতাউর রহমানের ‘স’ মিলে পাঠালে স্থানীয় লোকজন গাছটি আটকিয়ে দেয়। সন্ধ্যায় মানবন্ধনে ইউপি সদস্য একলাস ও ইউপি সদস্যা আমিরন বেগম বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লালপুর-আব্দুলপুর, সুন্দরগর, সালামপুর-গোপালপুর সড়কের দু’পাশে ভেঙে পড়া ১৩টি শিশু গাছ টেন্ডারে বিক্রয় করার কথা বলে গ্রামপুলিশ দিয়ে কেটে কিছু গাছ ইউপি চত্বরে রাখলেও দামি গাছগুলো সালামপুর বাজারের আতাউরের স’মিলে পাঠায়, এসময় স্থানীয় লোকজন রাস্তার গাছগুলি আটক করে।’
স’মিল মালিক আতাউর বলেন, ‘দুইটি শিশু গাছ আমার মিলে রাখা হয় তখন আমি মিলে ছিলাম না। তবে এই গাছ কে বা কারা রেখেছে আমি জানিনা।’
আড়বাব ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঐ দুুইটি গাছের কাঠ কে বা কারা ‘স’ মিলে নিয়েছে তা আমার জানা নেই। এটা একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না।
ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, ‘ঝড়ে পড়া গাছগুলো ইউপি চেয়াম্যানের হেফাজতে থাকার কথা থাকলেও ডালপালাসহ ৮পিস শিশুগাছ আতাউরের স’মিলে এবং ৩ পিস শিশুগাছ ও ২ পিচ রেইনটি কড়ই গাছ স্থানীয় রবিউল ইসলামের বাড়ির পাশে রাখা রাখা হয়েছে, যা আমার জানার বাইরে ছিলো।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন