শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনায় প্রতি তিনজনে এক পুলিশ সুস্থ হচ্ছে

পুলিশ হাসপাতালে দুই রোগীকে প্লাজমা থেরাপি : আক্রান্ত ৪৫৪৪

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের সুস্থতার হার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সুস্থ হয়ে বেশির ভাগই পুনরায় কাজে যোগদান করেছেন। গতকাল পুলিশ সদর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অন্যদিকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ক্রিটিক্যাল রোগীকে প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চার হাজার ৫৪৪ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর এক হাজার ৫৬৩ সদস্য করোনাকে জয় করেছেন। পুলিশ সদস্যদের সুস্থতার হার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে আইজিপির নির্দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রুষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে দুই রোগীকে প্লাজমা থেরাপি : স¤প্রতি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ক্রিটিক্যাল রোগীকে প্লজমা থেরাপির চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের প্লাজমা থেরাপিতে চিকিৎসা দেয়ার পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্লাজমা থেরাপির মেশিন বসানো হয়েছে। ক্রিটিক্যাল রোগীদের জন্য প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডোনার হিসেবে সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদেরকেই পাচ্ছে পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স¤প্রতি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই আক্রান্ত পুলিশ সদস্যকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়। করোনা উপশম কমলেও অন্য একাধিক রোগের কারণে মারা যান দুই রোগী। তবে পুলিশ হাসপাতাল প্লাজমায় করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে উন্নতি দেখা যাচ্ছে। করোনার ক্রিটিক্যাল রোগীর বাইরেও প্লাজমা থেরাপি দেয়ার চিন্তা করছে পুলিশ হাসপাতাল।
রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনোয়ার হাসানাত খান বলেন, আমরা স¤প্রতি দুই রোগীকে প্লাজমা থেরাপির ব্যবস্থা করি। তাদের বেশ উন্নতি দেখেছি। তাদের ভেন্টিলেটর ছাড়াই অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা বাড়তে দেখা গেছে। যেটা করোনার রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বেদনার কথা হলো- দু’জনকে আমরা হারিয়েছি কারণ তারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই কার্ডিয়াক ও পেডিয়াট্রিকের মতো অন্যান্য কঠিন সব রোগে ভুগছিলেন। তবে আমরা এটা মোটামুটি অনুধাবন করেছি, শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা কার্যকরী একটা চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন