শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

লকডাউন উঠে গেলে করোনা রোগী বাড়তে পারে

নোয়াখালীতে ২৫দিনে আক্রান্ত ৪৯৩ মৃত ১২, জনমনে উদ্বেগ

আনোয়ারুল হক আনোয়ার : | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণে নোয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৫দিনে ২৫জন থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৯৩ পৌছেছে। একই সময় করোনা উপসর্গ নিয়ে মুতের সংখ্যা ১২জন।

লকডাউনে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান সত্বেও জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও লোকজন দিব্যি আরামে চলাফেরা করেছে। হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে কারনে অকারণে লোকজনের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
করোনা সম্পর্কে জনসাধারনের উদ্দেশ্যে লাগাতার প্রচারণা চালিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ্উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা। কিন্তু তাতেও সড়কে ও হাটবাজারে লোক সমাগম কমেনি।

রমজান ও ঈদে বিভিন্ন ফাঁক ফোঁকর পেরিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে নোয়াখালীতে আড়াই থেকে তিনলাখ কর্মজীবি বাড়িতে আসে। এভাবে নোয়াখালীতে লোকজন আসার ফলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। অথচ গত ৫ মে পর্য্যন্ত নোয়াখালীতে করোনা রোগী সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫জন। কিন্তু ২৫দিনের ব্যবধানে তা একলাফে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৯৩জনে পৌছেছে।

নোয়াখালীতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আরও একটা বড় কারন হচ্ছে, বুহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বানিজ্য নগরী চৌমুহনী বাজারে প্রতিদিন কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটে। চৌমুহনী বাজারে আগত অধিকাংশ মানুষের করোনা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকায় এরা দিব্যি আরামে চলাফেরা করছে। লকডাউনের প্রথম দিকে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারনে সড়ক ও হাটবাজারে জনসমাগম অনেকটা কম ছিল।

নোয়াখালীর প্রতিটি উপজেলায় প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি এখানকার সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। আগামী ১জুন থেকে অফিস আদালত ও দোকানপাট বিকাল চারটা পর্য্যন্ত খোলা থাকবে। এসময় আন্ত:জেলা যাত্রিবাহী বাস চলাচল করবে। প্রশ্ন হচ্ছে, লকডাউনের মধ্যে যেখানে করোনা সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে লকডাউন উঠে যাবার পর পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!

এ বিষয়ে নোয়াখালীর বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপকালে তারা ইনকিলাবকে বলেন, নোয়াখালীতে কমপক্ষে সাড়ে তিনলাখ পরিবারের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এদের মধ্যে ৭০ভাগ দিনমজুর, কৃষক, জেলো ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। পেটের তাগিদে খাদ্যের অন্বেষণে এরা ঘর থেকে বের হয়। লকডাউন সত্বেও এসব মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঘর থেকে বের হচ্ছে। সুতরাং এসব পরিবারকে দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলে লোকজন ঘরে অবস্থান করবে। এতে করে লাকডাউন শতভাগ সার্থক হবে এবং করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন