শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

২৪ ঘন্টায় মিনা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার তিন

নীলফামারী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ৫:১০ পিএম

নীলফামারীতে চাঞ্চল্যকর মিনা ওরফে সাথী হত্যাকান্ডের ২৪ঘন্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মামলার বিস্তারিত তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহুল আমিন, নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোমিনুল ইসলাম মোমিন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আফজালুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় বৃহস্পতিবার(২৮মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খবরের ভিত্তিতে সদরের খোকশবাড়ি ইউনিয়নের হালিরবাজার এলাকার মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছন থেকে মিনা নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিনা দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানার শিবরামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া এলাকার মৃত. ভোম্বল ঋষীর মেয়ে।
দুই বছর আগে খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের হালিরবাজার এলাকার গণেশ রায়ের ছেয়ে তিমোথিয়ের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিলো তাদের। এনিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য শালিসও হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, স্বামীর অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক, সন্তান না নেওয়ার অনিহা এবং শ্বশুড়ের কুপ্রস্তাবের কারণে বুধবার রাতে বাবার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মিনা। এরই মধ্যে স্বামী তিমোয়িথ শ্বাশুড়ি শিউলি ও কাকি শ্বাশুড়ি মিনতি রানী ঘটনাস্থল থেকে মিনাকে ধরে মুখে ও যৌনাঙ্গে বালু কাঁদা ঢুকিয়ে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার সাথে জড়িতরা অত্যন্ত চতুরভাবে গৃহবধুকে হত্যা করেও খোঁজাখুজি করতে থাকেন। তার জ্বীনের ভুতের আছর রয়েছে বলেও ভিন্ন খাতে প্রচারণা চালায়।
ঘটনার পর থেকে নীলফামারী থানা পুলিশ, জেলা পুলিশের একটি টিম, সিআইডি’র তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় হত্যাকান্ডের সাথে তারাই জড়িত এবং পারিবারিক কারণেই তাকে হত্যা করা হয়।
হত্যাকান্ডের এই ঘটনায় মিনার ভাই সুকুমার ঋষী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, আদালতে স্বামী, শ্বাশুড়ি ও কাকি শ্বাশুড়ি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। শুক্রবার বিকেলে আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন