মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের অর্থনীতি নানামুখী সঙ্কটে

মাসেই কর্মহীন ১২ কোটি, রেমিট্যান্সে ধস, তাপদাহ, পঙ্গপালের হানা, বিদেশ থেকে শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তন, আম্পানের ছোবল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২০, ১২:১২ এএম

করোনাভাইরাস মহামারীতে ভারতের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। এরপর রয়টার্সের জরিপে আরো খারাপ দিনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রার দ্রুত দরপতন হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতীয়দের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে, এসব দেশে স্থানীয়দের নিয়োগপ্রক্রিয়া জোরদার করায় লাখ লাখ ভারতীয়কে ফিরতে হবে ভঙ্গুর অর্থনীতিতে ন্যুব্জ নিজ দেশে। বিভিন্ন রাজ্যে তীব্র তাপদাহের কারণ ব্যাপক ফসলহানি ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বাড়ছে, তারওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা মারাত্মক পঙ্গপালের হানা। এসব মিলিয়ে করোনাভাইরাসোত্তর ভারতীয় অর্থনীতি বিশেষ করে এপ্রিল থেকে শুরু অর্থবছরের খারাপ অর্থনীতি চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে। কোনও আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা নয়, ভারতের জিডিপি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক। সম্প্রতি অনির্ধারিত মনিটারি পলিসি কমিটি বৈঠকের পর তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাস দুয়েক ধরে লকডাউন চলায় অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গেছে। আর তারই প্রতিফলন মিলেছে রিজার্ভ ব্যাংকের এই পূর্বাভাসে।

রিজার্ভ ব্যাংক মনে করছে চলতি আর্থিক বছরে ২০২০-২১ সালে বৃদ্ধির বদলে সঙ্কোচন হবে। তবে অর্থবর্ষে দ্বিতীয় অর্ধে কিছুটা অবস্থা উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার ফলে ওইদিন রিজার্ভ ব্যাংকের এমন পূর্বাভাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। প্রসঙ্গত, এর ঠিক আগেই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, চার দশকের মধ্যে এই প্রথম ভারতের অর্থনীতি শূন্যের তলায় চলে যাবে।

প্রত্যাশা মতো রাজস্ব আদায় না হওয়ায় ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত হিসেবের থেকে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৮০ বেসিস পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছে। শুক্রবার কনট্রোলার জেনারেল অফ অ্যাকাউন্টস প্রকাশিত পরিসংখ্যান এমনই ছবি সামনে এসেছে।

গত আর্থিক বছরের (২০১৯-২০) জন্য প্রথমে দেশের আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। পরে আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে জিডিপির ৩.৮ শতাংশ স্থির করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু সব হিসেব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। বছরের শেষে দেখা যাচ্ছে, সরকারের আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে জিডিপি’র ৪.৫৯ শতাংশ। প্রবল টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। সা¤প্রতিক অতীতে এমন প্রতিক‚ল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়নি দেশকে।

গত ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি হার কমে হয়েছে মাত্র ৪.২ শতাংশ, বিগত ১১ বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। আগামীদিনে যে আরও খারাপ সময় আসতে চলেছে, তার প‚র্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছে। এমনকী চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার সঙ্কুচিত ( শূন্যেরও নীচে) হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতির পন্ডিতরা।

এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আরও স্টিমুলাস প্যাকেজের দাবি আরও তীব্র হচ্ছে। কিন্তু এই তীব্র আর্থিক ঘাটতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সরকারের পক্ষে সেই দাবি মেটানোর সুযোগ খুবই কম বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে বিড়ম্বনা বাড়ল নরেন্দ্র মোদি সরকারের। এই পরিস্থিতিতে শিল্পের চাকায় গতি ফেরাতে রিজার্ভ ব্যাংকের ঋণ নীতির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া সরকারের কাছে এই মুহ‚র্তে বিশেষ কোনও কার্যকরি বিকল্প পথ খোলা নেই। অন্তত এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০২০ আর্থিক বছরে মূলত প্রত্যাশা মতো রাজস্ব আদায় না হওয়ায় সরকার আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যভ্রষ্ট হল সরকার। গত আর্থিক বছরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ২.৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মোদি সরকারের অর্থনৈতিক ম্যানেজারদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আর্থিক বছরের শেষদিকে বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা অনেক হিসেব অদলবদল করে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে গত মার্চ মাসে শেষ হওয়া অর্থবর্ষে রাজস্ব বাবদ যে আয়ের লক্ষ্য নেয়া হয়েছিল তার মাত্র ৯০ শতাংশ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে। ফলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে জিডিপির ৩.২ শতাংশ। অংকের হিসেবে, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজস্ব হিসেবে কোষাগারে ১৯.৩১ লাখ কোটি টাকা ঢুকবে বলে প্রত্যাশা করেছিল মোদি সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ১৭.৫ লাখ কোটি টাকায় গিয়েছে ঠেকেছে।

হিটওয়েভ
এই মুহূর্তে ভারতে সঙ্কটের অভাব নেই। কিন্তু এই লম্বা তালিকায় আরও একটি সঙ্কট লুকিয়ে রয়েছে, যা খালি চোখে দেখা যায় না। তবে প্রতিমুহূর্তে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় সে। তার নাম তাপপ্রবাহ। এই মুহূর্তে প্রবল তাপপ্রবাহের কবলে দেশের একটা বড় অংশ।

বিগত একমাস ধরে উত্তর, মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের একাংশে বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে তাপপ্রবাহের এই ভয়ঙ্কর রূপ। দিল্লির মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, দেশজুড়ে আরও ৫-৬ দিন তাপপ্রবাহের চোখরাঙানি থাকবে।

গত মঙ্গলবার রাজস্থানে চুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা বিগত ১০ বছরের মধ্যে জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একই দিনে রাজধানী দিল্লির পারদ ছিল ৪৭.৬ ডিগ্রি। গত ৫ দিন ধরে উত্তর ও মধ্য ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রির উপরে রয়েছে।

পঙ্গপালের হানা
গত ২৭ বছরের সবচেয়ে বড় পঙ্গপালের হানা শুরু হয়েছে ভারতের এক বড় অংশ জুড়ে। এখনও অবধি রাজস্থান, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এই হানায়। এসব এলাকার ৩৩৪ জায়গায় ৫০ হাজার ৪৬৮ হেক্টর জমিতে পঙ্গপাল উড়ে গেছে। দিল্লি, হরিয়াণা, হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটক সরকার পঙ্গপাল আসার রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। তবে এ সময়টায় মাঠে ফসল না থাকায় অন্যান্য গাছের পাতা খেয়ে সাবাড় করছে পঙ্গপালের দল। প্রায় ১০০ জনেরও বেশি শ্রমিক যুদ্ধ করছে পঙ্গপালের সঙ্গে। এই পোকা ধ্বংসে ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছে ভারত।

আম্পানে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা
করোনা মহামারীতে বিধ্বস্ত অবস্থার মাঝেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যায় হানা দেয় মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এর ফলে হাজার হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। মারাত্মক ঝড়ে পড়ে যায় লাখ লাখ গাছপালা। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেরই লক্ষাধিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি রাজ্যটির। নরেন্দ্র মোদি সফরে এসে ১১শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে গেছেন পশ্চিমবঙ্গে। করোনার মাঝে এ ক্ষতি পোষিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে রাজ্য তথা দেশটিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

গণপরিবহনের ক্ষতি
গণপরিবহনখাতের মধ্যে কেবলমাত্র বাস শিল্পেই ভারত মাসে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান বিশ্বব্যাংকের ১৩তম প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। করোনা সঙ্কটে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক অবস্থা কীভাবে পুনরুদ্ধার করা যায় সেসব বিষয়ে নানান পরামর্শ জানিয়েছেন তিনি।

মাসেই কর্মহীন ১২ কোটি
ভারতে করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যে দেশের ১২ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের চাকরি বা কাজ হারিয়েছে। দেশটির প্রথম সারির থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র গবেষণা জানায়, শুধু গত মাসেই ভারতে ১২ কোটি ২০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, যার বেশির ভাগই দিনমজুর কিংবা ছোটোখাটো ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক। দুই মাস আগে ভারতজুড়ে যখন আচমকা লকডাউন জারি করা হয়েছিল, মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে কার্যত থেমে গিয়েছিল অর্থনীতির চাকা।

সিএমআইইর জরিপ বলছে, এপ্রিলের শেষেই দেশে এই ধরনের কাজ হারানো লোকের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ১২ কোটি ২০ লাখে। সিএমআইইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মহেশ ব্যাস বলেন, এর মধ্যে অন্তত ৯ কোটি ১০ লাখ মানুষের আজ কাজ না থাকলে পরের দিনের ভাত জোটে না।

বিদেশ থেকে ফিরবে শ্রমিকরা
মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে কর্মহীন হয়ে ভারতে ফিরবে লাখ লাখ প্রবাসী। করোনাভাইরাসের করুণ থাবায় তারা চাকরি হারিয়েছেন অথবা মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বিদেশীদের পরিবর্তে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়ায় ছাঁটাইয়ের শিকার হয়ে ভারতে ফিরবে। ইতোমধ্যে গত ৭ মে থেকে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভারতীয় শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও পর্যটকরা বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন। এদের সংখ্যা ৩ লাখের বেশি হবে বলে জানা গেছে।

মার্চ ত্রৈমাসিকে নিম্নগামী অর্থনীতি
মার্চ কোয়ার্টারে ভারতের অর্থনীতি কমপক্ষে দু’বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ করোনাভাইরাস মহামারীটি ইতোমধ্যে ক্রমবর্ধমান গ্রাহকের চাহিদা এবং বেসরকারী বিনিয়োগকে দুর্বল করেছে।
রয়টার্সের একটি জরিপে পূর্বাভাস মার্চ কোয়ার্টারে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২.১% রেখেছিল, এটি ডিসেম্বর কোয়ার্টারে ৪.৭% অর্জিত এর চেয়ে কম। পূর্বাভাস +৪.৫% এবং -১.৫% এর মধ্যে ছিল।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশে কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করেন। যদিও ১৮ মে থেকে উৎপাদন, পরিবহন এবং অন্যান্য পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক বিধিনিষেধ কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।

উৎপাদন ও পরিষেবাগুলোতে লকডাউনের পুরো প্রভাব জুনের প্রান্তিকে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে, গোল্ডম্যান শ্যাক্স এক বছর আগে থেকে ৪৫% সঙ্কোচনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করেন, এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া অর্থবছরটি চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কোচনের দেখা পাবে।

রেটিং এজেন্সি এস অ্যান্ড পি বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘দেশটি একটি কোভিড-১৯-পরবর্তী বিশ্বে রূপান্তরিত হওয়ার সাথে সাথে পরের বছর ধরে চলমান বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে, ২০২০/২০ এর পূর্বাভাস ৫% সঙ্কোচন করে কাটা হয়েছে’।

স্বাভাবিক বর্ষার বৃষ্টিপাতের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস ভারতীয় কৃষকদের পক্ষে অন্ততপক্ষে, এই আশা প্রদান করে যে, লকডাউন শুরু হওয়ার পরে গ্রামাঞ্চল লাখ লাখ অভিবাসী কর্মী যারা তাদের গ্রামে ফিরে এসেছিল তাদের গ্রামে ফিরে যেতে সহায়তা করতে পারে।

গত এক সপ্তাহে গড়ে দৈনিক ৬ হাজার শনাক্তের সংখ্যায় ভারতে করোনভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে যাদের মধ্যে মারা গেছে ৪,৫৩১ জন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কিছু উন্নত অর্থনীতির বিপরীতে, ভারতের উদ্দীপনা প্যাকেজটি মূলত ক্ষুদ্র ব্যবসায় এবং কৃষকদের জন্য উপরে মনোনিবেশ করেছে, যখন সরাসরি আর্থিক প্রণোদনা জিডিপির প্রায় ১% এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক চলতি মাসের শুরুর দিকে নীতিমালার হারগুলিকে ৪০ বেসিক পয়েন্ট কমিয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির পর থেকে তার মূল রেপো হারকে ১১১ বেসিক পয়েন্টে হ্রাস করেছে। সূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Saleh Ahmed ৩১ মে, ২০২০, ১২:৪৮ এএম says : 0
আল্লাহর গজব তওবা করেমাফ চেয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখি ইনশাআল্লাহ তিনি সব কিছুর মালিক
Total Reply(0)
Saeed Md Humayun Kobir ৩১ মে, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
ভারতের অর্থনী‌তি ছিল মধ্যপ্রা‌চ্যের আরব দেশগু‌লোর উপর নির্ভরশীল । প্র‌তিবছর দেশটি আরব দেশগু‌লো থে‌কে ১২০ বি‌লিয়ন ডলার আয় করত । যা তা‌দের মোট বৈ‌দে‌শিক আ‌য়ের ৯০% ! ! সবচাই‌তে বেশী আয় ক‌রে সৌদী আরব ও আরব আ‌মিরাত থে‌কে । এখন আরব দেশ থে‌কে ও‌দের শ্র‌মিক বিতাড়‌নের কার‌নে ও‌দের মাথায় বাজ প‌ড়ে‌ছে ।
Total Reply(0)
Mahadi Hasan ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
Oder economy ora kivabe recover korbe ora plan korei kaj kortese. Amader economy r joar niye Kotha bolen cause ora dhorei nise GDP 2 theke 3 percent.
Total Reply(0)
Towheed Karim ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
ভারতের অর্থনীতি দাড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সাথে অসম বানিজ্য, চলচিত্র, পর্যটন আর ইসলামী রাস্ট্রগুলো থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর। পর্যটন,চলচিত্রেও মুসলমানদের অবদান।
Total Reply(0)
Mohammed Shams Uddin ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
চিন্তার কোনো কারন নাই মুদী জি। তোদের পাশে বাংলাদেশ আছেনা।
Total Reply(0)
নাজমূল হাসান নাজমূল হাসান ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
বর্তমানে ভারতের সাথে কার ও ভাল সম্পর্ক নেই আমার মনে হয় করুনার পরে ভারতের অবস্থা আর ও খারাপ হবে।
Total Reply(0)
Kamal Hossain ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 1
ভারতের অর্থনীতি নিয়ে না ভেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নজর দিন। বিশেষ করে, রেমিটেন্স ও গার্মেন্টস সেক্টরে ধ্বস নামবে। ভারত থেকে অনেক পন্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ডাল, পেয়াজ, রসুন সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য উত্পাদনে জরুরী পদক্ষেপ দরকার।
Total Reply(0)
Rajon Islam ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
চেয়ারম্যানের ছেলে ফেল, মেম্বারের ছেলে ফেল, জমিদারের ছেলে ফেল। বড় লোকের ছেলে ফেল। আরে বাবা তর রেজাল্ট বল? বাবা তুমি কোন বড় লোক যে তোমার ছেলে পাশ করবে? সেই অবস্থা আমাদের।
Total Reply(0)
Md Morshed Ahmadi ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
আল্লাহ "বিজেপি দাঙ্গাবাজ মুসলিম বিদ্বেষী সরকার কে ধংস করে দেন
Total Reply(0)
Farooq Farooq ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
আল্লাহ্ গজব তোদের উপর মুসলমানদের হত্যা ও চিকিৎসা না দেওয়া
Total Reply(0)
ash ৩১ মে, ২০২০, ১:৪৬ এএম says : 0
PAP BABKE SARE NA ! IF CHINA PUSH INDIA NOW ? INDIA WILL BE 100 PIECES, THATS FOR SURE !
Total Reply(0)
মোঃ আনোয়ার আলী ৩১ মে, ২০২০, ৬:৩৫ এএম says : 0
এখনো তোমাদের চোখ খূলেনি? মূসলিম নির্যাতন বন্ধ করূন এবং এদের সাথে মিলেমিশে কাজ করূন।
Total Reply(0)
asif ৩১ মে, ২০২০, ১২:১২ পিএম says : 0
Dada bangladesh er khobor tao ekbaar dan ... bharat e ki hocche jene lav nei..
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন