ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের শিংহপ্রতাপ গ্রাম থেকে রোজিনা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গৃহবধুর স্বামীর ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। গৃহবধু রোজিনা সিংহপ্রতাপ গ্রামের হারুন মোল্লা ওরফে আশিক মোল্লার (৩০) স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদহ গ্রামের আঃ ওয়াহেদ মোল্যার মেয়ে রোজিনার সঙ্গে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের নুরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা ওরফে আশিক মোল্লার সাথে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
রোজিনার বড় ভাই হায়দার মোল্যা ও কাইয়ুম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, রোজিনার স্বামী আশিক মোল্লা বেকার, বখাটে ও নেশাখোর হওয়ায় তাদের সংসারে দীর্ঘদিন যাবত অশান্তি চলছিল। গত এক সপ্তাহ আগে আশিক আরেকটি মহিলাকে বিয়ে করে ঘরে আনে। এ নিয়ে তাদের সংসারে বড় ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যেই রোজিনাকে তার স্বামী পারপিট করতো। শনিবার রাত ১১টার দিকে আমরা খবর পেয়ে রোজিনার শ^শুর বাড়ীতে যাই। সেখানে ঘরের ভিতর রোজিনার মৃতদেহ দেখতে পাই। রোজিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আমাদের ধারনা রোজিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় রোজিনার স্বামী ও তার পরিবারের কোনো সদস্যকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তারা সবাই পালিয়ে গেছে। আমার বোনকে যারা হত্যা করেছে, আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
রোজিনার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায়, তাদের কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় রোজিনার বড় ভাই হায়দার মোল্লা বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, রোজিনার মৃতদেহ উদ্ধার করে রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন