পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের অভ্যন্তরীন কোন্দলে কারনে সংঘর্ষে নিহতযুবলীগকর্মী তাপস চন্দ্র দাস হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সায়মুন প্যাদা (২১) কে ঢাকার বাবুবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার গভীর রাতে সায়মুনকে গ্রেফতার করা হলেও সোমবার বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।পরে সাইমুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া সনজিৎ সাহা ওরফে সনু সাহারা বাড়ির কাছে একটি ডোবা থেকে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন ঘটনার বরাদ দিয়ে জানান, গত ২৪ মে দুপুরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এমপি পক্ষ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস চন্দ্র দাস ধারালো অস্ত্রের আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মারা যায়। এ ঘটনার পর গত ২৫ মার্চ মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও প্রথম আলো পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সহ ৩৫ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই পঙ্কজ দাস। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন ব্যানারে দফায় দফায় আন্দোলন হয়।
এদিকে খুনের ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় এজাহার ভুক্ত ৩ নং আাসামী সায়মুন প্যাদা। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সায়মুন। সায়মুন জানায় ঘটনার পর আত্মগোপনে ঢাকায় চলে যায়। এরপর রাজধানীর বাবুবাজার এলাকায় এক আত্মিয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। অপর দিকে সায়মুনকে আদালতে সোপর্দের পাশাপাশি রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন