স্টাফ রিপোর্টার : বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রশাসনে ‘ঘাপটি মেরে থাকা’ স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট’ আয়োজিত ‘সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন প্রশাসন স্বাধীনতাবিরোধীদের দখলে ছিল। আমাদের গত মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে এদেরকে হটিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। যারা এখনও ঘাপটি মেরে প্রশাসনের ভেতরে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিদেশি রাষ্ট্রগুলো ‘জুজুর ভয় দেখিয়ে’ বাংলাদেশে ঢুকে ‘মাতব্বরি’ করতে চায় বলে মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, কিন্তু ফ্রান্স, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানসহ পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রে যখন জঙ্গি হামলায় নিহত হয় তখন তাদের মুখ থেকে কোনো কথা বের হয় না।
কামরুল আরও বলেন, আমি বিদেশিদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের দেশে কোনো আইএস নেই। জঙ্গি মূলত জামায়াত-শিবির; এদের সহযোগী বিএনপি। জঙ্গি হিসেবে যাদেরকে পুলিশ আটক করেছে, তারা আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত ছিল। জঙ্গিবাদ ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত ছাড়া ইতোমধ্যে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আলোচনায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানও সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পেছনে আইএস বা তালেবান জঙ্গিরা জড়িত নয় দাবি করে বলেন, জামায়াত-শিবির প্রত্যক্ষভাবে এই হামলাগুলো করছে, আর তাদের সহযোগিতা করছে বিএনপি।
সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্ক আখ্যায়িত করে শাজাহান খান বলেন, এরা ’১৩ সালে সংলাপের কথা বলতে বলতে পাগল হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। এরা মুক্তিযোদ্ধা নামের কলঙ্ক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন