করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ- এই তিন জোনে ভাগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিতি ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জোন এখনও করা হয়নি, করা হবে। যখন জোন করব আপনারা জানতে পারবেন। আপনারা জানেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ইদানিং চট্টগ্রাম এখানে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত এলাকা হিসাবে চিহ্নত। যদি কোনো জোন রেড হয়ে থাকে, তবে এগুলোই হয়তো রেড হবে। আর বাংলাদেশের অধিকাংশ উপজেলাগুলো এখনও অনেকাংশ ভালো আছে। আমরা সেটা ভালো রাখতে চাই। রাখার জন্যই আজকের এই সভা।
তিনি বলেন, গত পরশুদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি দেখা করেছিলাম আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। উনি পরামর্শ দিয়েছেন, সেই পরামর্শ অনুযায়ী আমরা বসলাম। আমরা একটা পরিকল্পনা তৈরি করে দেব। পরিকল্পনটা এখানে নীতিগত ভাবে আলোচনা হয়েছে। আমরা পরিকল্পনটা আরও সুনির্দিষ্টভাবে করে দেব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেয়র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সম্মিলিত ভবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।
সারাদেশকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করার বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বিশেষজ্ঞরা সেই পরিকল্পনাটা করবেন। জোনিংয়ের মাধ্যমে যে জোনটায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হবে, সেই এলাকা বা জোনটা কয়েকদিনর জন্য বন্ধ থাকবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা কাজ করব। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ রেড জোনের মধ্যে পড়বে কিনা- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন