কুলাউড়া উপজেলা সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের উপবৃত্তির টাকা পকেটস্থ করেছেন শিক্ষকরা। অর্থলোভী শিক্ষকদের কর্মকা-ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ করেছেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের কাছে। এছাড়া এক প্রধান শিক্ষককে দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ করার খবর পাওয়া গেছে।
অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় যেসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেনÑ উপজেলার কানাইটিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদ আহমদ, কুলাউড়া গ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসনা বেগম, গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাগৃহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলী রানী দে ও লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাবিদ আলী। এর মধ্যে কুলাউড়া গ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসনা বেগমকে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা গত শনিবার বেলা ২টায় দু’ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, টাকা আত্মসাতের জন্য অসাধু এসব প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের কাছ থেকে চাহিদাপত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের অজুহাতে আগেই স্বাক্ষর এবং টিপসই নিয়ে নেন। চাহিদাপত্রে শতভাগ টাকা লিখেই তাতে স্বাক্ষর ও টিপসই নেন। কিন্তু টাকা দেয়ার সময় প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কম দেন। এ থেকে অভিযুক্ত একেকজন শিক্ষক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছেন। অভিভাবকরা শিক্ষকদের কাছে কম টাকা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। নিরুপায় হয়ে অভিভাবকরা ফিরে যান। কুলাউড়া গ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের কিছু টাকা ফেরত দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু অভিভাবকরা তা মেনে নেননি। তারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শরিফ উল ইসলাম জানান, অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন