লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের পানিঘাট, হাজীমারা, পুরান বেড়ি, মেঘনা বাজার, টুনুরচর, মিয়ারবাজারসহ মেঘনা নদীর বিস্তৃর্ণ এলাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির পোনা আহরণের মহোৎসব।
চিংড়ি পোনা অতিক্ষুদ্র হওয়ায় তা ধরতে যে জাল ব্যবহার করা হয় তাতে ধ্বংস হয় বিভিন্ন প্রজাতির রেণু পোনাও। এতে ধ্বংস হচ্ছে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। মহাজনরা অগ্রিম ঋণ দেয়ায় রেণু পোনা শিকারে উৎসাহী হয়ে ওঠেছে জেলেরা। বাজারে প্রতিটি গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু পোনা বিক্রি হয় ১/২ টাকা করে। একজন জেলে প্রতিদিন বিক্রি করছেন ২শ’ থেকে ৩শ’ পোনা। রেনু পোনা শিকারিরা জানান, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় নিষেধাজ্ঞা সত্বেও পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই রেনু পোনা শিকার করতে হচ্ছে তাদের। রেনু ব্যবসায়ীরা জানান, জেলেদের থেকে রেনু পোনা কিনে খুলনা, আলায়পুর ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন জেলা গলদা ও বাগদা চিংড়ির ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করেন তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন অবাধে গলদা পোনা ধরার কথা স্বীকার করে বলেন, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় চিংড়ি পোনা শিকারিদের নিভৃত করার জন্য ঝটিকা অভিযানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন