নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অস্ত্রেরমুখে দশম শ্র্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার সাত দিন পেরোলেও ধর্ষকসহ কোনো আসামিই গ্রেফতার হয়নি। ফলে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ওই ছাত্রীর পরিবার। এমনকি মামলা তুলে নিতে ধর্ষকের আত্মীয়-স্বজনদের হুমকি-ধমকিতেও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পরিবারটি। এমন সব অভিযোগ এনে ওই ছাত্রীর পিতা বাগাতিপাড়া প্রেসক্লাবে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীর পিতা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার মুরাদপুর পাঁচুড়িয়া আদর্শ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তার কন্যা প্রতিদিনের মতো ১৭ জুলাই দুপুরের দিকে পাঁচুড়িয়া গ্রামের আজম মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফিরছিল। এ সময় একই গ্রামের আবু রায়হানের ছেলে বখাটে ধর্ষক সজিব (২৫) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি ঘরে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রেরমুখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ও ওড়না দিয়ে দু’হাত বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় বাধা দিলে অস্ত্রের আঘাতে জখমপ্রাপ্ত হয় সে। পরে বাড়ি ফিরে গিয়ে তার মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে ওই ছাত্রীটি। এ ঘটনার পরদিন দুপুরে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে গত ১৭ জুলাই বাগাতিপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর পিতা। মামলার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষকসহ ওই মামলার কোনো আসামিই গ্রেফতার হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে আসামির আত্মীয়-স্বজন মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ওই ছাত্রীর পুরো পরিবার বলেও অভিযোগ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছুটিতে রয়েছেন জানিয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, পলাতক থাকায় আসামিদের আটক করা যায়নি। তবে, আসামিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন