লিচু পছন্দ করে না কিংবা লিচু খেতে ভালো বাসে না অথবা কমবেশি লিচু খায়না এমন মানুষ পাওয়া বোধ হয় একেবারেই অসম্ভব। তবে অসুস্থ ব্যাক্তিদের বিষয়টি ভিন্ন।লিচু খাওয়ার উপকারিতা কেউ বুঝতে পারুক অথবা না পারুক মুখরোচক খাদ্য হিসেবে লিচুর গুরুত্ব অপরিসীম। লিচুর মৌসুম শুরু হলে আত্মীয়তা কিংবা সম্পর্কের বন্ধন অটুট করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করে লিচু বিনিময়। তা সে যে জাতের লিচুই হোকনা কেন? বোম্বাই হলেতো কথাই নেই। যাদের নিজের বাগানের লিচু আছে তারাতো অন্যরকম আমেজে আত্মীয়তা করে লিচু বিনিময়ে। আর যাদের বাগান নেই তারাও পিছিয়ে থাকে না লিচু বিনিময়ের মাধ্যমে আত্মীয়তা পোক্ত করতে। এই দেয়া নেয়ার মজাটায় আলাদা। লিচুর মৌসুম শুরু হয়েছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি এখানে গুরুত্বহীন। অন্যজেলার মানুষ আসতে শুরু করেছে লিচুর রাজধানী ঈশ্বরদীতে। ব্যবসায়ী ও সৌখিন ব্যাক্তিরা বাগানে বাগানে অথবা আড়তে-আড়তে পরিবার পরিজনের সাথে ঘুরে ঘুরে কিনছেন পছন্দের লিচু। একবুক আনন্দ আর উল্লাস নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। কিন্তু আনন্দ মুহূর্তেই ম্লান হয়ে যেতে পারে যদি খাবার সময় দেখা যায় সাধের লিচু দেখতে লালটকটকে অপরুপ সুন্দর অথচ বোঁটার নীচেই খোসার অন্তরালে লুকিয়ে আছে অপ্রত্যাশিত সাদা আকৃতির জীবন্ত পোকা। দূর্ভাগ্যবলে হতাশা ব্যক্ত করা ছাড়া তখন আর কিছুই থাকে না। তবে সব লিচুতেই এমনটা হবে তা ভাবা যদিও ঠিক না তারপরও বলবো দেখে শুনে খাওয়াটায় উত্তম যাতে আনন্দের ফল নিরানন্দে পরিনত না হয়। প্রকৃতিগতভাবেই লিচু প্রিয় অনেক ক্রেতা এমন ধোকা খাওয়ার প্রমান পাওয়া গেছে। তাই প্রিয় মৌসুমী ফল লিচু খাবার আগে একটু দেখে খাওয়ায় উত্তম বলে মনে করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন