শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

এলাকাভিত্তিক লকডাউন শুরু আজ

আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে : ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন হবে নির্দিষ্টি এলাকা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনার সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ঢাকাসহ সারা দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে এ বিষয়ে কর্মপন্থা গ্রহণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বেশি করোনা আক্রান্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে তা লকডাউন করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তার কাজটি করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) তথ্য সরবরাহ করবে।

গতকাল এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা করে শিগগিরই তাতে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি গতকাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হারের উপর ভিত্তি করে রেড, ইয়োলো ও গ্রীন জোনে এলাকা ভাগ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ বিষয়ে একটি তালিকা করে তার সঙ্গে কিছু প্রস্তাবনা দিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজকেই পাঠিয়ে দেব। কাল (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বিশ্লেষণ করে সংযোজন বা বিয়োজন করে সিদ্ধান্ত দেবেন। অথবা প্রস্তাব যাচাই করতে আরও সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তার সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেড জোন পুরোপুরি কঠোর লকডাউনের আওতায় থাকবে। এ জোনের মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ যেসব জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেখানে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হবে। আর ইয়োলো ও গ্রিন জোনে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত করা হবে। মূলত সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিদিন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে করোনা মানচিত্র আপডেট করা হবে। আক্রান্তের ঘনত্ব অনুযায়ী এই মানচিত্র হবে তিন ধরনের- রেড, ইয়োলো ও গ্রিন।

প্রস্তাবিত কর্মপরিকল্পনায় যা আছে ঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে রেড মানচিত্রের এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর করা হবে। নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য যেমন ১৪-২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হবে। আর এসব এলাকায় আরোপ করা হবে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি। রেড মানচিত্রের এলাকা থেকে কাউকে অবাধে চলাচল করতে দেয়া হবে না। রেড জোনে শুধু ফার্মেসি, হাসপাতাল, নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকবে। কাঁচাবাজার, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, শপিং মলসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বেচ্ছছাসেবক বাহিনী কাজ করবে। আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেশনে রাখা এবং আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখাও নিশ্চিত করা হবে। রেড জোনে জনসমাগম রুখতে কাঁচাবাজার বন্ধ রেখে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান ও মাথায় ঢুলি নিয়ে চলা ফেরিওয়ালাদের পণ্য বিক্রি করতে দেয়া হবে। লকডাউন নিশ্চিত হচ্ছে কি না তার জন্য পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং কমিটি করা হবে। রেড জোনে থাকা কেউ যাতে ওই এলাকার বাইরে যেতে না পারে এবং বাইরের লোকজন যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে তার জন্য সংশ্লি­ষ্ট পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নেবে। একবারে বড় ধরনের প্রয়োজন ছাড়া ওই এলাকা থেকে কেউ বের হতে বা ঢুকতে পারবে না।

আর ইয়োলো জোনে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে। পুরো এলাকা লকডাউন না করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউন নিশ্চিত করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি কড়াভাবে পালন করতে হবে বাসিন্দাদের। যেকোনো ধরনের জনসমাগম রোধে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী বা ওয়ার্ড কমিটি পর্যায়ক্রমে টহল দেবে। কোনো বিষয় তাদের আয়ত্তের বাইরে থাকলে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করবে। প্রয়োজনীয় জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এখানে ফার্মেসি, হাসপাতাল ও কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও অন্য সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর বাড়ি লকডাউন নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া গ্রীন জোনে কিছু বিষয়ে কঠোরতা বজায় রাখা হবে। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী এই এলাকায় ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। এখানে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা হবে। যাতে এই এলাকার কেউ আক্রান্ত না হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রম অবনতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর গত ১ জুন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লি­ষ্টরা সভায় বসেন। ওই সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার কথা জানান।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও করোনা সংক্রান্ত মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এলাকা রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার জন্য অ্যাপ করা হয়েছে। রোববার নাগাদ ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় রেড জোনে লকডাউনের মাধ্যমে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রত্যাশা করছি, সারা দেশে আগামী বুধবারের মধ্যে জোনিং করে কাজ শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় প্রতি এক লাখে যদি ৪০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত থাকে তবে সেটাকে রেড জোন বলা হবে। ৩ জনের বেশি কিন্তু ৪০ জনের কম থাকলে তবে সেই এলাকাকে ইয়েলো জোন বলা হবে। এক বা দু’জন বা কেউ না থাকলে সেটাকে গ্রিন জোন বলা হবে। তবে জোন ঘোষণার ক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। রেড জোন ঘোষণার ক্ষেত্রে এক লাখে আক্রান্তের সংখ্যা ২০, ৩০ ও ৪০ এই তিন ধরনেরই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা গেছে, অ্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা থাকবে কোন এলাকা রেড জোন, কোন এলাকা ইয়েলো জোন এবং কোনটি গ্রিন জোন। আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে গেলে, রোড জোন পর্যায়ক্রমে ইয়েলো ও গ্রিন হবে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্দেশনা মানার সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Sheikh Jannatul Ferdous ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
I think this is very very good decision form Government.
Total Reply(0)
Surovi Chowdhury ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
lock down diben..tik ase..but poor lok gula ki khabe..seta k bolbe..
Total Reply(0)
এম এম সুমন ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
কাজ হবে না, আপনাদের পদক্ষেপ ভিত্তিহীন , রেডজোনে কি করে মানুষ চলাচল করতে পারে, শুধু দোকান বন্ধ কিছু কর্মসংস্থান বন্ধ হলে কি রেডজোনের কঠোরতা শেষ, মানুষ চলাফেরা রাস্তা হাটা অন্য দৃষ্টিক থেকে বাসে আসা,, এটাকে রেডজোন লক ডাউন বলে না,, সুত্র - কক্সবাজার আজ সকাল থেকে রেডজোন এলার্ট, তবে মানুষ থেমে নেই, আর রাতে আসছে ঢাকাগামী বাস, যাচ্চেও
Total Reply(0)
Golam Mustafa ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
সবার কাছে পৌছেছে করোনা ভাইরাস, এখন আর কাজ হবে না কোনকিছু।
Total Reply(0)
Abdul Halim ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
লকডাউন শব্দটা শুনে যতটুকু আতকে উঠেছি করোনা মহামারীর কথা শুনেও এতটুকু আতকে উঠি নি।কারণ লকডাউনে গত ৩ মাস আমি বেকার আমার মত লাখো লোক বেকার। সরকার প্রধানদের বলতে চাই লকডাউন শব্দটা আপনাদের কাছে বলা যতটা সহজ আমাদের কাছে মানা ততটাই কঠিন। লকডাউন দিন তাতে আমাদের কোন সমস্যা নেই তবে আগে সাধারণ জনগণের খাবার নিশ্চিত করুন তারপর লকডাউন দিন। নতুবা এই দেশের জনগন লকডাউন নামক নাটক নাটক খেলাকে প্রত্যাখান করবে।
Total Reply(0)
Akash Khan ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
লকডাউন করে কি লাভ মানুষ কি ঘরে থাকে এই গুলো দিয়ে কোনো লাভ নাই অজথা হয়রানি
Total Reply(0)
আবিদ হাসান শাওন ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
এই সকল লকডাউন দিয়ে গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করে তাছাড়া কিছু না,,,লকডাউন কি গাড়ির জন্য দেয়া না মানুষ এর জন্য এটা আমি এখন ও বুঝতে পারলাম না,,,,আফসোস
Total Reply(0)
Raza Murad ৭ জুন, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 1
লকডাউনে কিছুই হবে না, বাঙ্গালী লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন এগুলো বোঝেনা। বাঙ্গালীদের জন্য দরকার কারফিউ। যদি রোযার মাসেও অন্তত ১৫ দিন যদি কারফিউ দেয়া হতো তাহলে পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হতোনা। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, ১৫ দিনের জন্য হলেও সারা দেশে কারফিউ জারি করুন কঠোর ভাবে।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ৭ জুন, ২০২০, ৭:৩৯ এএম says : 0
শুনেন, লকডাউন আর বক ডাউন না করিয়া মুল চিকিৎসার দিকে খেয়াল দেন। এই সমস্থ বিপদ মুক্ত থাকতে দোয়া দুরুদ শিখেন। এবং আমল করেন। সবাই শুদ্ধতা সহকারে আয়তুল কুরছি শিখেন, লা-হাওলাউয়ালা ক্বোয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিইল আযীম শিখেন।। ইনশাআল্লাহ। সবাই বিপদ মুক্ত থাকিতে পারিবেন।
Total Reply(0)
শরীফ আহমদ ৭ জুন, ২০২০, ৮:৩৭ এএম says : 0
লক ডাউন বাদ দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসাগুলো খুলে দিয়ে,জন-সাধারন সবাইকে সময়মত মসজিদে এসে ফরজ নামাজ আদায়ে বাধ্য করলে,সবাইকে অশ্লীলতা,বেহাপনা ও পাপাচার থেকে রুখলে এবং শরয়ী সতর্কতা অবলম্বন করলে (অর্থাৎ সংক্রমিত ব্যাক্তি থেকে দুরত্ব্য বজায় রাখা(রুগী অজানা থাকায় সতর্কতা বশত হচি কাশি বা জ্বরাক্রান্ত ইত্যাদি আলামত প্রকাশিত ব্যাক্তি)এবং সংক্রমণের এলাকায় বিনা জরুরতে কেউ না যাওয়া। অন্য এলাকা মানুষও বিনা প্রয়োজনে ওই এলাকায় না যাওয়া।) ইনশাআল্লাহ ভাইরাস নামক আযাব থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে।
Total Reply(0)
আল আমীন ৭ জুন, ২০২০, ১০:৩৬ এএম says : 0
এখনোকি নেতাদের সময় হয় নাই আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আসার। লোকডাউন মানব সৃষ্ট ঔষধি প্রকৃয়া। আর কোরআন আল্লাহ প্রদত্ত ঔষধি প্রকৃয়া। সুতরাং কোরআনের ভাষায় বলবো.. কোথায় যা্ও... এখনোকি সময় হয় নাই একটু চিন্তা করার... তোমরাকি চেন্তা করবা না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন