চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর পাহাড়ে অবৈধ বসতিতে দেওয়া গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা শতাধিক পরিবারের অবৈধ গ্যাস-পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। নগরীর লালখান বাজারের মতিঝর্ণা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে। আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নোমান হোসেন জানিয়েছেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বসবাস করছেন, তাদের সরে যেতে মাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। এরপর অবৈধভাবে নেওয়া শতাধিক ঘরের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধভাবে নেওয়া বিদ্যুতের এসব লাইন নগরীর বিভিন্ন ‘প্রধান লাইন থেকে টানা হয়েছিল’ জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ হাকিম। উচ্ছেদ অভিযানে তিনি ছাড়াও সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আছিয়া খাতুন উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে নগরী ও আশপাশের সব পাহাড়ে অবৈধ গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেও জানান মো. নোমান হোসেন।
এর আগে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন রোজার ঈদের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড় থেকে ‘দখলদারদের’ উচ্ছেদ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত ২০ জুন ‘পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির’ পঞ্চদশ সভার পর কমিশনার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বসতি স্থাপনকারীদের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এরপর সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে বলে সে সময় ঘোষণা দেন তিনি।
সরকারি হিসাবে মহানগরীর ত্রিশটি পাহাড়ে লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করছে। ভূমিদস্যুরা এসব পাহাড় দখলে নিয়ে বসতবাড়ি তুলে ভাড়া আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে দখলদার প্রভাবশালীরা বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াসা ও কর্ণফুলি গ্যাসের কতিপয় কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাহাড়ে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই কারণে বিচ্ছিন্ন করার কিছু দিনের মধ্যে ফের নতুন সংযোগও দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন