স্টাফ রিপোর্টার : কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক পোস্টার লাগানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। যদি কোনো কমিউনিটি ক্লিনিকে রাজনৈতিক পোস্টার পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম ব্র্যান্ডিং করা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাই এখানে অন্য কোনো ধরনের পোস্টার লাগানো যাবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হককে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে ব্র্যান্ডিংয়ের নামে টাকা লুটপাটে নেমেছে একটি চক্র। সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজক সরকার হবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পাবলিক প্রক্রিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) ভঙ্গ করে আবারো অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের সমন্বয়ককে না জানিয়েই একক ক্ষমতাবলে ক্রিয়েটিভ নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছেন প্রকল্পটির লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মোমতাজুল হক। শুধু কাজ দিয়েই সুবিধা নিচ্ছেন তা নয়, সম্প্রতি ১০০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন উপকরণ না পেয়েও আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ছাড় দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। একই সঙ্গে অনিয়মের মাধ্যমে গত অর্থবছরের কাজকে চলতি অর্থবছরে প্রদান করারও অভিযোগ রয়েছে যা পুরোপুরি পিপিআর লঙ্ঘন বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। অপরদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের অনিয়ম বা কোন পদ্ধতিতে করা হয়েছে এ সম্পর্কে জানতে মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামকে নির্দেশ দেন। নির্দেশের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য সচিব প্রকল্পের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মোমতাজুল হকের কাছে এ সম্পর্কিত তথ্যাদি চেয়েছেন। ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের অনিয়ম সম্পর্কে এখনো কোন মতামত দেননি বলে জানিয়েছেন ডা. মো. মোমতাজুল হক। তাহলে কিভাবে উদ্বোধন করা হলো- জানতে চাইলে মোমতাজুল হক জানান, সচিব যা চেয়েছেন সে সম্পর্কিত তথ্যাদি দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনো কোন মতামত দেননি। সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা করার কথা ছিল না। তবে শুনেছি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নির্দেশে তারা এটা করেছেন। অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ডিংয়ের অর্থ ব্যয় হওয়ায় মূল কাজে সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে মোমতাজুল হক বলেন, আমরা শতভাগ কাজ পাবো আশা করছি। গত অর্থবছরের কাজ এই অর্থবছরে সম্পাদন পিপিআর লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে মোমতাজুল হক বলেন, সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল বলে সমস্যা নেই। আর এর বিল এই অর্থবছরের বাজেট থেকে প্রদান করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন