করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সোমবার থেকে শিথিল করেছে কানাডা সরকার। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র কানাডার নাগরিকদের বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয় কানাডায় হাজার হাজার বিদেশী নাগরিক তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় একত্র হতে সক্ষম হবে।
মহামারি মোকাবেলায় কানাডায় গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত সব ধরণের ভ্রমণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। মে মাসের শেষের দিকে এসে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবার ২১ শে জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এমন কঠিন সময়ে সন্তান থেকে বাবা ও মা কিংবা স্বামী থেকে স্ত্রী আলাদা থাকা খুব কষ্টের।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তা বুঝি, সে কারণেই আমরা নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের পরিবারের একান্ত সদস্যদের কানাডায় আসতে দেয়ার জন্য একটি সীমিত ছাড় এনেছি।’
কানাডিয়ান গণমাধ্যমগুলো সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের দু’পাশে আটকে বিভিন্ন পরিবারের কথা প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে আলাদা করে নজরে এসেছে এক আমেরিকানের কথা। তিনি কানাডায় প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে যাওয়া তার কানাডিয়ান স্ত্রীর সাথে যোগ দিতে চাইছিলেন।
কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১ টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ৫৯ মিনিট) কার্যকর হবে এবং এটি শুধুমাত্র কানাডার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের বিদেশী স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা বা অভিভাবকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই করোনাভাইরাসমুক্ত হতে হবে, কোন লক্ষণ থাকা যাবে না এবং তাদেরকে কমপক্ষে ১৫ দিন কানাডায় থাকতে হবে। এছাড়া আগত সবাইকে দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো বলেন, ‘এই ব্যবস্থা গ্রহণের অর্থ এই নয় যে, মানুষকে সপ্তাহান্তে ছুটিতে আসার অনুমতি দেয়া হবে, ব্যক্তিগত বা সামাজিক সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য কাইকে অনুমতি দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হ’ল যাতে এই অভূতপূর্ব সময়ে কানাডার মানুষ তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হতে পারে।’ তবে, কানাডায় যেতে হলে যে কোনও ব্যক্তিকে এখনও ভিসা বা বৈদ্যুতিন ভ্রমণের অনুমোদন সহ সাধারণ পারমিটগুলো গ্রহণ করতে হবে। সূত্র: এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন