দ্বিতীয় পর্যায়ে নোয়াখালী ও কক্সবাজারে চলছে কঠোর লকডাউন। পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল যানবাহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বান্দরবান সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা ও রুমা উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করায় আজ বুধবার বেলা ১২টার পর থেকে এসব এলাকা লকডাউন করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আমাদের ব্যুরো ও সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত-
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, প্রথম পর্যায়ে অনেকটা ঢিলেঢালার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কঠোর অবস্থানের কারণে নোয়াখালীতে পুরোদমে লকডাউন চলছে। পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
নোয়াখালী সদর উপজেলা ও বেগমগঞ্জ গতকাল মঙ্গলবার থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবে। লকডাউন চলাকালে সীমিত সময়ের জন্য কাঁচাবাজার ছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এখন সড়কও অকেটা ফাঁকা হয়ে গেছে। নোয়াখালীতে করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্কের প্রেক্ষিতে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা আলোচনার মাধ্যমে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৫ এবং মৃতের সংখ্যা ৩০জন।
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, কক্সবাজারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ১ এপ্রিল থেকে ৮ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১১৬ জন। সরকারি হিসাব মতে ২১ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরো কমপক্ষে ১০ জন। তাই করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসন গোটা কক্সবাজার শহরকেই রেড জোন ঘোষণা করেছে। ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত কক্সবাজারে চলছে লকডাউন।
এদিকে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে সন্দেহজনক করোনা রোগীদের স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা কথা। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তোলপাড়।
বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বান্দরবান সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা ও রুমা উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বেলা ১২টার পর থেকে রেড জোন কার্যকর করতে এসব এলাকা লকডাউন করা হবে বলে জানিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। এই সময়ের আগে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি জানিয়েছেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন। তিনি জানান, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তবে প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, চিকিৎসক, মানবিক সহায়তা, ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, জরুরি ওষুধ, চিকিৎসা উপকরণ, কৃষি উপকরণ ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা জানান, জেলায় গত সোমবার শনাক্ত ১৪ জনই সদরের বিভিন্ন এলাকার। তাদের মধ্যে পোশাক শ্রমিকের সংখ্যায় বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন