রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লকডাউন পূর্ব রাজাবাজার

আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেকেই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২০, ১২:১২ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘনত্ব বিবেচনায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়। সেই থেকে ওই এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারছে না, কাউকে প্রবেশ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে ওই এলাকার লকডাউন বিষয়ক ঘোষণা আসার পর স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার আতঙ্কে অনেককে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আটটি প্রবেশপথের মধ্যে শুধু আইবিএ হোস্টেলের পাশেরটি খোলা রয়েছে। তবে সেই পথটি দিয়েও ওই এলাকায় অবস্থানরত সংবাদকর্মী, চিকিৎসক ও নার্স ছাড়া কাউকেই প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রবেশপথে পুলিশের অবস্থানএদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন পেশার লোকজন পরিচয়পত্র নিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আসলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও বারবার অনুরোধ করেও এলাকা থেকে বের হতে পারেননি। কর্মস্থলে যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বাসায় ফিরে গেছেন।

এলাকাবাসীকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে কাউন্সিলরের নির্দেশে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান শুভ নামের এক স্বেচ্ছাসেবক। তিনি বলেন, এলাকাবাসীর সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারের ভ্যান আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিল। সেগুলো এলাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সকালে কাজে যোগ দিতে বের হন বারডেম হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাহিলা খানম। তিনি বলেন, সরকার জনসাধারণের ভালোর জন্যই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। যদিও এলাকাবাসীর বেশ কয়েকদিন কষ্ট হবে, তবু উচিত বিষয়টি মেনে চলা। অন্যদিকে, কাজে যোগ দিতে যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সায়মন সিয়াম নামে একজন। তিনি বলেন, অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছি। কিছুতেই বের হতে দিচ্ছেন না পুলিশ সদস্যরা। এভাবে ১৪ দিন লকডাউন থাকলে হয়তো চাকরিটা নাও থাকতে পারে।

মূলত কারা কারা এই মুহূর্তে এলাকা থেকে বের হতে এবং প্রবেশ করতে পারছেন, জানতে চাইলে সেখানে কর্তব্যরত শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সনজিৎ বলেন, এই মুহূর্তে আমরা এই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা সাংবাদিক, ডাক্তার ও নার্স শুধুমাত্র তাদের বের হতে এবং প্রবেশ করতে দিচ্ছি। এর বাইরে অন্য কোনও পেশার কাউকেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু, একান্ত জরুরি প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি ভেবে দেখবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Kowshik Ahmed Anik ১১ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
ভাই জীবনে প্রথম শুনলাম লকডাউন ও পরিক্ষামুলক হয়।
Total Reply(0)
Noha Akter ১১ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের লকডাউন করে দেয়া হোক। আমাদের এলাকার মানুষ গুলো অনিয়মিত হাঁটাচলা করে কোন বাধাই মানে না
Total Reply(0)
Md Nizam Uddin ১১ জুন, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
পাগলের মাথা খারাপ। এই দুই মাস কিসের লকডাউন ছিল
Total Reply(0)
Md Shapon ১১ জুন, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
আর যারা লকডাউন এর আগে করোনা সহ পালিয়ে গেছে, তাদের পরীক্ষা মূলক কোথায়❗️
Total Reply(0)
Ashraf Mahamud ১১ জুন, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
যারা বলবে বাইরে যাওয়া নিষেধ, তারা সব দিতে পারবে তো???
Total Reply(0)
Apu Halder ১১ জুন, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
কোন লাভ হবে বলে মনে করি না ,লকডাউন পুরো ঢাকা শহর করতে হবে,ছোট ছোট এলাকাতে করে লাভ কি ১৪ দিন পরে তো আবার আক্রান্ত হবে ,১৪ দিন পরে লকডাউন শেষ আবার বের হবে আবার আক্রান্ত হবে ,আমার মতে পুরো ঢাকতে ১৪ দিনের জন্য কারফিউ জারি করার দরকার ,তাহলে সুফল আসবে
Total Reply(0)
Nasir Khan ১১ জুন, ২০২০, ১:৪২ এএম says : 0
সারাদেশে এমন কঠোর লকডাউন না করে ছোটখাটো এলাকা নিয়ে কাজ করে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
Total Reply(0)
Mokhtar Ahmed ১১ জুন, ২০২০, ১:৪২ এএম says : 0
লকডাউন দিলে করোনা হবে না এমন কোন প্রমান পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় নি। বরং অারো ক্ষতি হয়েছে এটার প্রমান অনেক। ঘরে বসে থাকার ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার কারনে করোনাসহ আরো অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন