শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপকূলে মানবিক সহায়তা দিতে এসেছি, সকলকে আপন করে নিতে হবে -সেনাপ্রধান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২০, ১:৪২ পিএম

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহয়তা দিতে আমরা এসেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে আসিনি। এখানে কারো উপর চড়-থাপ্পড় দেয়া যাবে না। সকলের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা মানবিক কাজে এখানে এসেছি। সকলকে আপন করে নিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় সাতক্ষীরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে সেনাপ্রধান সাতক্ষীরায় অবতরণ করে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বেলা ১১টায় সেনাসদস্য ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ১২টায় হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা উপকূল ঘুরে খুলনার কয়রার উদ্দেশে রওনা হন।
এ সময় তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আগে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে আমরা কাজ করছি। করোনার কারণে প্রটেকশন নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যদি করোনা না থাকত তাহলে সেনা সদস্যরা লুঙ্গি গামছা পরে কাজে নেমে পড়তো। তবে করোনার কারণে সেটি হচ্ছে না। দুর্যোগে কিভাবে কাজ করতে হয় সেনা সদস্যরা সেটি জানেন। করোনা ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করতে হবে সেগুলো সেনা সদস্যদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ক্রান্তিকালে যে সকল সেনা জনগণের পাশে রয়েছে জনগণ তাদের মনে রাখবে।
সেনাপ্রধান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ রক্ষার কাজ করে যাচ্ছে সেনা সদস্যরা। মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাঁধ রক্ষার কাজ সেনাবাহিনীকে দিলে সেনাবাহিনী করবে কি না? আমরা বলেছি, সরকারের দেয়া কাজ করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এটিকে আমরা গর্ব মনে করি। কিভাবে কাজগুলো করলে সুন্দর হবে এখন সেটি আমরা পরিকল্পনা করছি। বাঁধ রক্ষায় এই মুহূর্তে লক দরকার, বাঁশসহ অন্যান্য সারঞ্জামাদি দরকার হবে। সবকিছু পর্যাপ্ত পাওয়া নাও যেতে পারে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। আমরা যে কাজটি করব সেটি চেষ্টা করব ভালোভাবে করার। জনগণের সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রয়েছে। আমাদের প্রয়োজন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা। সেটি যদি আমরা পাই তাহলে কাজটি আমরা ভালোভাবে করতে পারবো। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও সেটি নিয়ে ভাবতে হবে।
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, বর্তমান পর্যন্ত ৪৬০টি ঘর আমরা সংস্কার করে দিয়েছি। দশ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা দিয়েছি। খাবারের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকেও অনেককিছু করা হচ্ছে। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে তারপরও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আমাদের ১৬টি পানি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে। এর মধ্যে উপকূলে পানি সংকট নিরসনের জন্য তিনটি ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। আরও লাগলে সেটি আমাদের কাছে চাইতে হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন