অ্যাকজিমা এক প্রকার চর্ম রোগ, যা বাংলাদেশে পামা, বিখাউজ, কাউর ঘা, এলার্জি ইত্যাদি নামে পরিচিত। মানবদেহে যত চর্মরোগ আছে তার মধ্যে অ্যাকজিমা অন্যতম। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটিকে সচরাচর এটপিক ডার্মাটাইটিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে, কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ্যাকজিমার অন্যতম উৎস বংশগত বলে ধারণা করা হয়। এই রোগে ত্বকের বিশেষ কোনো কোনো স্থানে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত স্থান লালাভ দেখায়, এখানে পুঁজ জন্মে, চুলকায়, রস বের হতে পারে এবং মামড়ি পড়ে। এটি কোনো সংক্রামক রোগ নয়। তবে এ রোগ থাকলে সাথে হাঁপানি এবং হে ফিভার হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যাতে অতি শুষ্ক ত্বক ফেটে যায়, পুরু হয়ে ওঠে, চুলকানির সৃষ্টি হয় এবং ফুস্কুড়ি হতে পারে। শরীরের যে কোনো স্থানেই অ্যাকজিমা হতে পারে। তবে হাত, পা, বাহু, হাঁটুর বিপরীত পৃষ্ঠা, গোড়ালি, হাতের কব্জি, ঘাড় ও ঊর্ধŸ বক্ষস্থল, কপাল, মাথা ইত্যাদি অংশ বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
চর্ম রোগের মধ্যে অ্যাকজিমা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে হয় রুগিকে। কারো কারো কপালে, মাথায়ও এ রোগ হতে পারে।
এসব চর্ম রোগের রোগী কেউ কেউ শীতকাতর হয়ে থাকে। শীত লাগবে বলে গোসল করতে চায় না। তাই গরমে তাদের এই রোগ বেড়ে যায়। বিছানায় গেলে খোস পাচড়ায় শরীর চুলকিয়ে ওঠে। প্রচ- গরমের উত্তাপে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়। অসহ্য চুলানিতে রোগী দিশেহারা হয়ে পড়ে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত গোসল করা। আক্রান্ত স্থানকে ধুলাবালি জীবাণুুমুক্ত রাখা। গরম ও ধুলোবালি এড়িয়ে চললে ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে চান ও ওষুধ সেবন করতে চান তারা অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। এটা-অ্যাকজিমায় হোমিও ঔষধ কার্যকর। হোমিও চিকিৎসায় নিরাময়যোগ্য। হোমিও ওষুধ মেজিরিয়াম-৬, ১ ড্রাম ২০ নং বড়িতে নেবেন। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ২০টি করে বড়ি খাবেন। ইনশাল্লাহ অ্যাকজিমা সেরে যাবে।
ষ ডা. মো. মোখলেসুর রহমান
বাওনিং হাওসেন হোমিও ক্লিনিক
৩/১৬, (পুরাতন ৫/১৮) আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা। মোবাইল ০১৭৬১০৭৯৭২৯
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন