বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

কিডনি বায়োপ্সি এবং গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিসের চিকিৎসা

প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমাদের কিডনির অসংখ্য কাজের মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান কাজ রক্ত পরিশোধন করা। আর এটি সম্পন্ন হয় যে আনুবীক্ষণিক অঙ্গের মাধ্যমে তাকে বলে ‘গ্লোমেরুলাস’।
সহজভাবে বললে এগুলো একেকটি ক্ষুদ্র রক্তনালির গুচ্ছ। আমাদের প্রতি কিডনিতে এমন ১০ লক্ষ গ্লোমেরুলাস আছে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ রোগের কারণে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়, যেমন গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস। এর উপসর্গ বা লক্ষণ নানা রকম হতে পারে অথবা কখনো কখনো সাধারণ প্র¯্রাব পরীক্ষায় কিছু অস্বাভাবিকতার সাথে এটি প্রথম ধরা পড়ে।
প্র¯্রাবের রং পরিবর্তন যেমন প্র¯্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া বা প্র¯্রাবের রং ঘোলাটে হওয়া।
মুখ অথবা চোখের চারপাশে পানি জমা ও ফুলে যাওয়া।
পা ফুলে যাওয়া।
খুব অল্পবয়সে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া।
সাধারণ প্র¯্রাব পরীক্ষায় রক্তকণিকা অথবা বেশি মাত্রায় প্রোটিনের উপস্থিতি ধরা পড়া। খুব দ্রুত এই রোগ নির্ণয় করা গেলে এ রোগকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা সম্ভব। আর তা না করা গেলে কিডনি প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়ে পড়তে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ নির্ণয় করার একমাত্র উপায় ’কিডনি বায়োপ্সি’ করা। কিডনি বায়োপ্সি একটি সহজ প্রক্রিয়া যা ছোট একটি অপারেশনের মতো (সরহড়ৎ ংঁৎমবৎু)। প্রথমত, আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে বাম কিডনির নিচের সীমানা নির্ণয় করা হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে অবচেতন করার ঔষধ (ষড়পধষ ধহধবংঃযবংরধ) ইনজেকশনের মাধ্যমে দিয়ে স্থানটিকে সম্পূর্ণ অবশ করানো হয়। তারপর একটি বিশেষ বায়োপ্সি নিড্ল (ইরড়ঢ়ংু ঘববফষব)-এর মাধ্যমে কিডনি টিস্যু নিয়ে তা ল্যাবরেটরিতে বিশেষ মাইক্রোসকোপের নিচে (ঐরংঃড়ঢ়ধঃযড়ষড়মু) পরীক্ষা করবার জন্য পাঠানো হয়। এর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই সুনির্দিষ্ট ঔষধ প্রদানের মাধ্যমে এর চিকিৎসা সম্ভব কিনা তা জানা যায়। এর সাথেই কিছু বিশেষ রক্ত পরীক্ষা (ওসসঁহড়ষমড়রপধষ) করার প্রয়োজন পড়ে। পুরো রেনাল বায়োপ্সি ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষার জন্য রোগীকে ১-২ দিন হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে।
ইউনাইটেড হাসপাতাল
গুলশান, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন