শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক কৌশল

আবু জাফর মো. সালেহ্ | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ভয়াবহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মানুষের জীবন ও জীবিকা আজ হুমকির সম্মুখীন। জীবন ও জীবিকার সম্পর্ক অচ্ছেদ্য। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি চিন্তা করা যায় না। তাই জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে সময়োপযোগী, সঠিক ও বাস্তবভিত্তিক কৌশল গ্রহণ করতে পারাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। একটি উদীয়মান দেশ হিসেবে আমাদের রেমিট্যান্স, রপ্তানি, আমদানি, বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীন বিনিয়োগ, পর্যটন ইত্যাদির উপর কোরোনাভাইরাসের বিরূপ প্রভাব এখনই দৃশ্যমান। এসব মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং আরও অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ ক্রমশঃ জরুরি হয়ে পড়ছে।

সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান এবং করোনা পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। বৈশ্বিক যেকোনো মহামারীকে পরাভূত করতে হলে প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্ব এবং সঠিক কর্মকৌশল। করোনা সংক্রমণ রোধ এবং মহামারীর পরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদেরকে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামাঞ্চলে ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে রেশন কার্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সর্বোপরি হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করতে হবে।
আমাদের দেশে যেহেতু নির্দিষ্ট কোন ডাটাবেজ নাই, তাই এখানে কত লোক অর্থনৈতিকভাবে সামর্থ্যবান আছে আর কত লোক মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত অথবা দিন আনে দিন খায় তার সঠিক হিসাব নেই। তবে বাস্তবতা হলো, নিম্নমধ্যবিত্ত ও দিন এনে দিন খাওয়া লোকের সংখ্যাই বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আমরা কোনো কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি। যেসমস্ত মধ্যবিত্ত এই দুর্যোগে ত্রাণ চাইতে পারছে না, তাদের অবস্থাই সবচেয়ে নাজুক। একটি আদর্শ সমাজের মূল মেরুদন্ড হচ্ছে মধ্যবিত্ত, তাদের প্রতি আমাদের অনেক যত্নবান হতে হবে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নিজ উদ্যোগে তাদের খোঁজ আমাদের রাখা উচিত। রাতের আঁধারে তাদের বাসায় সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছাতে হবে। সরকার মধ্যবিত্তদের জন্য অনলাইনে সাহায্য চাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। তদুপরি তাদের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা বেশি প্রয়োজন। দীর্ঘদিন ব্যবসা করেও আমাদের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস পোশাকখাত এখনও কোনো টেকসই আর্থিক অবস্থায় দাঁড়াতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতিতে তারাই সবার আগে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। এটা আমাদের জন্য কোনো সুখকর বিষয় নয়। আমরা অবাক হই, বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা করেও এই সময়ে তাদের কোনো ক্রাইসিস ফান্ড নেই। পোশাকশিল্পের মালিকরা সবসময় বিলাসী জীবনযাপন করে অভ্যস্ত। তারা যদি এই সময়ে তাদের শ্রমিকদের যথাযত দায়িত্ব নিতে পারত তাহলে হয়তো সরকারের কাছে হাত পাততে হতো না। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশে সরকার এক সাথে কতটুকু দেখতে পারবে, এই বাস্তবতা আমাদের বুঝতে হবে।
করোনা আমাদের দেশের স্বাস্থব্যবস্থার দেউলিয়াত্ব, দুর্নীতি, অনিয়ম, অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে নতুন রোগ শনাক্তকরণের দুর্বলতা/ব্যর্থতা, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বল্পতা, জরুরি প্রয়োজনীয় ঔষধের অপ্রতুলতা, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাব এবং সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট মহলের মানবিক মূল্যবোধের সীমাবদ্ধতা বা অসচেতনতা। তবে ইতিবাচক দিক হলো মহামারী করোনা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার এবং সবার জন্য সহজলভ্য উন্নত স্বাস্থব্যবস্থা নিশ্চিত করার সুযোগ এনে দিয়েছে। তাই আগামীতে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে সর্বজনীন ও সহজলভ্য করতে হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা ইউনিভার্সেল হেল্থ কভারেজ (ইউএইচসি) এর একজন প্রবক্তা। ইউএইচসি বাস্তবায়নের মূল বিষয়টি হলো সরকারই হবে স্বাস্থ্যসেবার জন্য সব বা বেশিরভাগ খরচের যোগানদাতা। জাতিসংঘে ২০১২ সালে এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সাক্ষরদাতা দেশ বাংলাদেশ। থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার অনেক দেশই ইউএইচসি বাস্তবায়ন করেছে। দেশের জনসাধারনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত, সহজলভ্য ও সার্বজনীন করার প্রয়াসে আমাদের ইউএইচসি (সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা) বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া অতি দ্রুত শুরু করা উচিৎ।
করোনা সংকটে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই বিপদগ্রস্ত। দেশে বিরাজমান তিন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকার থেকে দেয়া, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ অংশ সরকারই দেয়, তবে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী আবার সরকারি সুবিধা পায় না। কিন্তু বেশি সমস্যায় আছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন না নিলে তারা শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন দিতে পারে না। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। তাই শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রকৃত বিপদেই আছেন। দেশে ১৫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেসরকারিই ১০৫টি, ৪,৫৫১টি কলেজের মধ্যে বেসরকারি ৩,৯০০টি। ২০,৬৬০টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেসরকারি ১৯,৯৮৫টি। ১,২৯,২৫৮টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩,৬৩৮টি বেসরকারি। এ বিপুল সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এই সংকট উত্তরণের জন্য সরকারকেই একটি বিকল্প রাস্তা বা উপায় বের করতে হবে। সরকার গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্নভাবে প্রণোদনাসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারই পারে একটি সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে- যা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বড় বড় এবং কম প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো থেকে টাকা সরিয়ে তা করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ব্যয় করবে এবং ব্যবসায়ীদের দেবে, যাতে করে ব্যবসায়ীরা, যারা এসময়ে পুঁজি হারিয়েছে, তারা আবার ব্যবসা-বাণিজ্য করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সরকার সময়োপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন বড় বড় প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত না থেকে আগে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। কৃষি তথা খাদ্য উৎপাদনে এবং মওজুদে (খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য) জোর দিতে হবে। মধ্যস্বত্ত্বভোগী বাদ দিয়ে প্রকৃত পণ্য মূল্য সরাসরি কৃষকদের দিতে হবে। এসএমই খাতে ঋণ বিতরণে ব্যাপক জোর দিতে হবে। ঋণ বিতরণ ব্যবস্থা জেলা পর্যায়ে না রেখে উপজেলা/থানা ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাধীনতার এত বছর পর এসেও আমরা কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করতে পারিনি। ভালো ফলন হওয়া সত্তে¡ও অনেক জায়গায় শ্রমিক না থাকায় ধান কাটা যাচ্ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের উচিত ছিল কৃষিখাতকে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ করতে কৃষকদের হাতে বিনামূল্যে ধান কাটার মেশিন দিয়ে দেয়া। তাহলে আমরা হয়তো কৃষি অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যেতাম। কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহে কৃষকদের প্রণোদনা সর্বাগ্রে এবং সর্বাধিকারভিত্তিতে দেওয়া উচিত।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রবাসী শ্রমিকরাও। তারা ছিল আমাদের জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস। বছরের পর বছর ধরে তারা তাদের কষ্টার্জিত আয় রেমিটেন্সের মাধ্যমে পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এই করোনাকালে যারা দেশে এসেছে এখন আমাদের উচিত প্রথমত তাদের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করা। সরকারকে ধন্যবাদ দেই এজন্য যে, ইতোমধ্যে সরকার তাদের জন্য বিনা জামানতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যেই আমাদের শ্রমিক সংখ্যা বেশি কিন্তু সেখানে তেলের দাম আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় (সর্বোচ্চ ছিল ১৫০ ডলার, যা এখন প্রায় ১০ ডলার) এবং মহামন্দার অভিঘাতে সে সব দেশে বেশিরভাগ শ্রমিক আর যেতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। আর তাই দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে প্রবাসে নতুন নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান করতে হবে। তাছাড়া দেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প গ্রহণ করে এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সকল প্রবাস ফেরত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও দেশে বিদ্যমান বেকার এবং করোনার প্রভাবে বেকারসহ সকলের জন্য গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক কর্মসূচি (কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির মত) গ্রহণ করে এবং মাইক্রো ও স্মল এন্টারপ্রেনারদেরকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে অল্প সুদে আরও প্রণোদনা দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭৮ লক্ষ মাইক্রো ও স্মল এন্টারপ্রেনার রয়েছে, যাদের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এটা আরও বাড়াতে হবে।
করোনার কারণে রপ্তানিবাজার পড়ে গেছে। এজন্য আমাদের এখন নতুন নতুন চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরি করতে হবে। যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশেই উৎপাদিত হতে পারে গুণগত বিশ্বমানের পিপিই। দেশের পিপিই চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে তা রপ্তানি করার মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। ফলে রপ্তানি আয়ের সাথে সাথে দেশেও রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়ও কমে যাবে। এর সাথে বিভিন্ন টেকনিক্যাল ইন্সিটিউট এবং সংশ্লিষ্ট মেশিনারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ওষুধপ্রশাসনের তত্তাবধানে ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারে। করোনা পরবর্তী বিশ্বে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং রপ্তানি খাত হিসাবে ঔষধ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল যন্ত্রপাতির চাহিদা বাড়বে। অতএব রপ্তানির জন্য আমরা এগুলোর দিকে এখনি নজর দেওয়া শুরু করতে পারি। করোনাভাইরাসের তান্ডবলীলা বিশ্ব-অর্থনীতিকে মহামন্দার মধ্যে নিয়ে ফেলবে। কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ আগামীতে বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে। উর্বর ভূমির দেশ হিসেবে আমরা আধুনিক কৃষিযন্ত্রপাতির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন জোরদার করলে রপ্তানির সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই, কিন্তু সম্যস্যা হচ্ছে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকে একক হাতে সামলাতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর পরে এখন একজন করোনাবিষয়ক সমন্বয়ক থাকা উচিত। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল বারাকাত তাঁর ‘করোনাভাইরাস-১৯: সম্ভাব্য অনশ্চিয়তা ও করণীয় কল্পচিত্র’ নামক নিবন্ধে বলছেনে, “কোভডি-১৯ প্রতেিরাধরে জন্য মূল দায়িত্ব দিতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী র্কতৃক মনোনীত একজন জ্ঞানসমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক ব্যক্তিকে যিনি জনগণের পক্ষে সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করবেন আর অন্য সব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ-দপ্তর-অধিদপ্তর থাকবে একক দায়িত্বপ্রাপ্ত ঐ ব্যক্তির অধীন এবং সম্পূর্ণ কার্যক্রম সুচারুরূপে সমন্বয় ও পরিচালনের জন্য তিনি জরুরি অবস্থা বা ইমারজেন্সি বিবেচনায় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা-জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলের নিঃশর্ত সর্বাত্মক সহায়তা নিবেন। এ যুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হবেন চিফ অব কমান্ড আর একক দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মানিত ব্যাক্তিটি হবেন চিফ অব অপারেশনস। এর কোন বকিল্প নইে।” তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে আমাদের উচিত এখনই এই দুর্যোগ মোকাবিলায় নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া।

লেখক: ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতি (বিইএ) এবং সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন