শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শেরপুরের নকলায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮ করোনা জয়ী হাসিমুখে বাড়ি ফিরে গেলেন

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ৯:২৫ পিএম

শেরপুরের নকলায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮জন কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস)’র সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে নিজ বাসা-বাড়িতে ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকসহ ৬ জন নকলা হাসপাতাল আইসোলেশনে এবং ৮ বছর বয়সী এক শিশুসহ ২ জন হোম আইসোলেশনে ছিলেন।

১২ জুন শুক্রবার দুপুরের দিকে নকলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র প্রদানের মাধ্যমে এ ৮ করোনা জয়ীকে আইসোলেশন থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমানের অফিস কক্ষে কয়েকজন চিকিসৎক ও সাংবাদিকদের উপস্থিতে তাদের হাতে ছাড়পত্র তুলেদেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমান। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমান, নকলা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউসার বিদ্যুতসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, সাংবাদিক ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

করোনা বিজয়ীরা হলেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (এফপিআই) মো. সুজন মিয়া ও আব্দুল আজিজ, মঞ্জুরুল ইসলাম, রুবেল মিয়া, রহুল আমীন, ইয়াদ আলী। এরা সকলেই হাসপাতাল আইসোলেশন ছিলেন। আর হোম আইসোলেশনে থেকে করোনা বিজয়ীরা হলেন শাহাদৎ হোসেন (২৫) ও রুমি আক্তার (৮)।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আবু কাউসার বিদ্যুতের দেয়া তথ্য মতে, নকলা হাসপাতালের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সন্দেহে উপজেলার ৫৪৩ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী উপজেলায় ৩১ জনের শরীরে কোভিট-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর উপস্থিতি সনাক্ত হয়। এর মধ্যে আজকের ৮জন সহ মোট ১৯ জন সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে নিজ বাসা-বাড়িতে ফিরে গেছেন। ১১ জন হোম আইসোলেশনে সুস্থ আছেন বলে তিনি জানান। তাছাড়া উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়াকুড়ি কান্দা পাড়া এলাকার সুফিয়া বেগম (৩০) নামে এক নারী ৪ জুন বৃহস্পতিবার ১১ টায় নমুনা দেওয়ার পরে ওই দিন সন্ধ্যায় হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মজিবুর রহমান জানান, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় ফল ও শাক সবজি খেলে, কিছুক্ষণ পর পর লবন বা ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গড়া গড়া করলে, সম্ভব হলে আধা ঘন্টা পর পর গরম পানি পান করলে এবং আইসোলেশনের সকল নিয়ম কানুন মেনে চললে করোনা ভাইরাস দ্রুত সেড়ে যায়। কোভিট-১৯ (করোনা ভাইরাসে) আক্রান্ত হলে, এতে চিন্তার বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতনতা অবলম্ভন করলে ও আইসোলেশন নিয়ম মেনে চললে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস মুক্ত হওয়া যায়। আজকের ৮জন সহ মোট ১৯ জন করোনা জয়ী এমনটাই প্রমান করছেন। তারা কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অতএব করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা অবলম্ভন করতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন