করোনায় আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে শারীরিক অন্যান্য সমস্যা ও বয়স বিবেচনায় তাকে এখনই ঝুঁকিমুক্ত বলছেন না চিকিৎসকরা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ গতকাল বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজ বেশ সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন। নিজে থেকে নাশতা করেছেন। তার প্রিয় খাবার আমসত্ত¡ খেতে চেয়েছেন। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছেন। তাকে দেখে আগের চেয়েও ভালো মনে হয়েছে’।
মো. ফরহাদ বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সর্বশেষ যে এক্স-রে রিপোর্ট, তাতে তার ফুসফুসের উন্নতি দেখা গেছে। নিউমোনিয়া থেকে তার ফুসফুসে যে ইনফেকশন, তা পর্যায়ক্রমে ধীর গতিতে ভালো হয়ে উঠছে। এর ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে যে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদিও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ক্ষেত্রে এখনই বলে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই যে তিনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। কারণ ফুসফুস নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও তার আরও বেশ কয়েকটি শারীরিক অসুস্থতা আছে।
নাসিমের অবস্থা জানতে জাফরুল্লার চিরকুট
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, গলায় ব্যথা থাকার কারণে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কথা কম বলছেন এবং চিকিৎসকরাও তাকে কথা কম বলতে বলেছেন। যে কারণে প্রতিনিয়ত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালসহ বাইরের আরও যে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি চিন্তা করছেন, চিরকুটের মাধ্যমে লিখে সেগুলোর ব্যাপারে চিকিৎসক, নার্সদের কাছে জানতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, চিরকুটে লিখে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট অনুমোদনের সর্বশেষ অবস্থা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি চিরকুটের মাধ্যমেই সবাইকে বিভিন্ন কাজের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেমন, সাধারণ মানুষের জন্য নগর হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাবে জরুরি ভিত্তিতে প্লাজমা কালেকশন মেশিন বসাতে বলেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন