টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লকডাউন কারযকর করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে।শহরে ডুকার সকল প্রবেশ মুখে বেরিকেট সৃষ্টি করে পাহারার ব্যবস্থার করা হয়েছে।ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, জরুরী পরিসেবা গ্রহণে আসা ও নিত্যপণ্য বহনের যানবাহন ছাড়া শহরে সকল প্রকাশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের কাছ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।এ সময় গোপনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, মাস্ক ব্যবহার না করা এবং মোটরসাইকেল চালকের লাইন্সেস না থাকার অপরাধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ৫১ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেন তারা।তবে জরুরী পরিসেবা গ্রহণে আসা ও নিত্যপণ্য বহনের যানবাহন মির্জাপুর বাইপাসের বংশাই রোড দিয়ে শহরে প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মির্জাপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল সোমবার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড (বাজার এলাকা) ঝুকিপুর্ন হিসেবে চিহ্নিত করে ১৬ জুন থেকে ২৫ জুন ১০ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে উপজেলা প্রশাসন। এজন্য সোমবার বিকেল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জণগনকে সচেতনও করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমরোধে পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে জণগনকে সচেতন করার পাশাপাশি নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন