মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে স্রোতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে না পারায় বন্ধ রাখা হয়েছে ডাম্প ও কে-টাইপসহ ৬টি ফেরি। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ ও কাওড়াকান্দির ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে আটকে আছে পারাপারে অপেক্ষারত পণ্যবাহী পরিবহন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঘাটে কমপক্ষে চার শতাধিক পণ্যবাহী পরিবহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া বাকি ফেরিগুলো চললেও তীব্র স্রোতের কারণে পদ্মা পার হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ১ থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। ফলে ঘাট এলাকার যানজট স্বাভাবিক না হয়ে বেড়েই চলেছে।
বিআইডবিøউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম জানায়, বর্তমানে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে চলাচলরত ১৭টি ফেরির মধ্যে গত দুইদিন ধরে ৬টি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডাম্প ও কে-টাইপ ৬টি ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া রো রো ফেরি চলাচল করলেও পদ্মা পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।
এদিকে, কাওড়াকান্দি লঞ্চঘাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান জানায়, পদ্মায় অতিরিক্ত স্রোতের কারণে মূল পদ্মা পার হতে গেলে লঞ্চগুলোকে তীর ঘেঁষে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার পথ স্রোতের বিপরীতে যেতে হয় এরপর ঘাটে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া লঞ্চ বা ফেরিগুলোকে স্রোতের সঙ্গে ভাটিতে চলে যেতে হয়। গত তিনদিন ধরে নৌযান চলাচল ব্যহত হওয়ায় শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। বাখরেরকান্দি থেকে পদ্মাসেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর ব্রিলিয়ান্ড ইংলিশ ভার্সন স্কুল থেকে বন্দোরখোলা পর্যন্ত দুই ধাপে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তায় আটকে আছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পরিবহনগুলো। ফলে রাস্তার একাধিক স্থানে যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
বিআইডবিøউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া আরো বলেন, ‘ স্রোতের তীব্রতার কারণেই ফেরি চলাচল ব্যহত হচ্ছে। তীব্র স্রোতের উপেক্ষা করে ডাম্প ও কে-টাইপের কয়েকটি ফেরি চলতে না পারায় দুর্ঘটনা এড়াতে তা বন্ধ রাখা হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন