শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সৈয়দপুর উপজেলায় গবাদিপশুর মাঝে ব্যাপক হারে লাম্পি স্কিন ভাইরাস জনিত রোগ দেখা দিয়েছে

নীলফামারী সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২০, ৪:৩৩ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় গবাদি পশুর মাঝে ব্যাপক হারে লাম্পি স্কিন ভাইরাস জনিত রোগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলায় প্রায় হাজারের অধিক গরু সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে বেশ কিছু গরু। বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমনের মধ্যেই গরুর ওই ভাইরাস জনিত রোগে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গরু খামারীরা।
জানা যায়, ১৯২৯ সালে সর্ব প্রথম আফ্রিকা মহাদেশে জাম্বিয়াতে ওই রোগ দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। মশা-মাছিবাহিত ওই রোগটি মূলত মশার মধ্যমেই বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত গরুর ভাল হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে গরু ও বাছুর মারা যাচ্ছে।
সরেজমিনে নীলফামারী সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে গিয়ে জানা যায়, নিয়ামতপুর গ্রামে ৪টি গরু এবং একই ইউনিয়নের দলুয়া চৌধুরীপাড়ার গোলাম মোস্তফার ১টি ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বোতলাগাড়ী, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নেও বেশ কিছু গরু ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সৈয়দপুর শহরের ইউসুফ ডেইরী ফার্মের মালিক লায়ন জামিল আশরাফ মিন্টু জানান, আমার খামারে প্রায় ২শ টি গরু আছে। কিন্তু লাম্পি স্কিন ভাইরাস যেভাবে সংক্রমণ হচ্ছে তা নিয়ে বেশ আতঙ্কে আছি। কারণ একটি গরু আক্রান্ত হলে অন্য গরু আক্রান্ত হবে। কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে পূর্ব কাচারী পাড়ার কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, তার ১টি বাছুরের পায়ে ও পেটের মধ্যে ক্ষত হয়ে মাংস খসে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, রোগটি তাদের কাছে একেবারে নতুন। প্রথমে শরীরের গুটি গুটি হয়ে ফুলে যায় এবং পরে গুটি গুলোতে ইনফেক্সন হয়ে ঘা সৃষ্টি হয়। এরপর ক্ষত স্থান থেকে চামড়া ও মাংস পচে যাচ্ছে। শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ও ব্যথা থাকায় খাওয়া বন্ধ করে গরু গুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হক বলেন, প্রতি বছরের বাইরে থেকে দেশে আসছে গরু তাদের শরীর পরীক্ষা না করে এ ভাইরাস জনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে মৃত্যুহার কম হলে ও আক্রান্ত পশু অন্য পশুদের থেকে আলাদা করে তার যতœ ও খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জ্বর বেশি হলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সৈয়দপুর ১শ শয্যা হাসপাতালে আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ আরিফুর রহমান জানান, রোগাক্রান্ত গরুর মাংস খাওয়া মোটেই উচিত নয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোনাক্কা আলী জানান, এ বছর রোগটি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। গবাদি পশু চাষিরা ওই রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি আরও জানান, আতঙ্কিত না হয়ে সঠিকভাবে গবাদিপশুর পরিচর্যা করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষক ও খামারীদের সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। যদিও রোগটির কোন ভ্যাকসিন নেই তারপরেও গোটপক্স নামের একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে এতে রোগ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে জানান তিনি। যেহতু রোগটি মশা মাছিবাহিত রোগ তাই তিনি রোগ প্রতিরোধে গরুকে মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
SHOREFUL ISLAM ১৭ জুন, ২০২০, ৫:৩০ পিএম says : 0
Ekhon ki korte hobe ?
Total Reply(0)
HABIBUR ২১ জুন, ২০২০, ৯:০৬ পিএম says : 0
আমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার থানায়। আমার গরুর এই রোগটি হয়েছে। এর ওষুধ কোথায় পাব। দয়া করে জানাবেন।
Total Reply(0)
HABIBUR ২১ জুন, ২০২০, ৯:০৬ পিএম says : 0
আমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার থানায়। আমার গরুর এই রোগটি হয়েছে। এর ওষুধ কোথায় পাব। দয়া করে জানাবেন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন