আরব আমিরাতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন ৮ লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এদের মধ্যে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন বড় একটি অংশ। দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লোকসানে পড়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকগণ চরম বিপাকে থাকলেও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ব্যবসায়ীরা করোনায় সম্মুখযোদ্ধাদের নানা রকম পোশাক তৈরি করে করোনাকালীন দুঃসময়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি কর্মদক্ষতা ও সততায় দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন ব্যাপকভাবে।
জানা গেছে, আমিরাতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন সহস্রাধিক ছোট-বড় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মধ্যে দেশটির আজমানে প্রদেশেই রয়েছে ৪ শতাধিক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। প্রতিটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয় শার্ট, প্যান্ট, পলো শার্ট, টি-শার্ট, আবায়া (বোরকা) ও হিজাবসহ বাচ্চা ও মহিলাদের মানসম্পন্ন রুচিশীল নিপুণ কর্মশৈলী নানারকম পোশাক। আমিরাতের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পছন্দসই নানা রকম পোশাক তৈরি করাতে আসতেন এখানে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা আপাতত আসতে না পারলেও করোনাকালীন এ দুঃসময়ে স্থানীয়ভাবে করোনায় সম্মুখযোদ্ধা ডাক্তার ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের পিপিই, গাউন, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হিজাব ও মোজাসহ নানারকম পোশাক তৈরিতে ব্যাপকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ব্যবসায়ীগণ। তাদের অধীনে কাজ করছেন ৩০ সহস্রাধিক বাংলাদেশি। বাংলাদেশি ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা কাজ করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে। তবে দেশটিতে লোকসানে থাকা অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মন্দা বিরাজ করলেও করোনাকালীন এ দুঃসময়ে অর্থনৈতিকভাবে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ব্যবসায়ীরা মোটামুটি ভালো অবস্থানে থাকায় তাদের অধীনে কর্মরত শ্রমিকরাও খুশি।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আমিরাত সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা, অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবা আর সঠিক কর্মপদ্ধতি বাস্তবায়নের সফলতায় দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুণ এবং মৃত্যুর সংখ্যাও একেবারেই কম। ফলে অনেকটা করোনা জয়ের পথে আমিরাত। এতে দেশটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা কাটিয়ে দ্রুত আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলেও মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন