ঢাকার ধামরাইয়ে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে ক্লাস্টার লকডাউন ও ধামরাই পৌরসভায় রেডজোন হিসেবে আজ শনিবার(২০জুন) থেকে লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে ছিল উপজেলা প্রশাসন। আবার শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই এ লকডাউন স্থগিত করলো প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার দিনে ও রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে পৌরবাসিকে জানিয়ে দেয়া হয় আজ ২০ জুন শনিবার থেকে টানা ২১ দিন লকডাউনের ঘোষণা।
এমন ঘোষণার পর গতকাল শুক্রবার ধামরাই বাজারে কাঁচাবাজারসহ সব দোকানেই তিল ধারনের ঠাই ছিল না ক্রেতাদের । সবশ্রেণি পেশার অধিকাংশ পৌরবাসী তাদের অন্তত সাতদিনের জন্য চাল, ডাল, মাছ মাংশ, ডিম, আলু, পিয়াজ, তরকারি, আটা, তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদিসহ ফলমুলও ক্রয় করে ঘরে নিয়েছে। যার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির কিছুটা সংকট দেখা দেয়। ফলে অনেকেই চড়া দামেও কিনতে বাধ্য হয়েছে।
এসময় করোনা ভাইরাসের সংক্রামন উপেক্ষা করেই নিত্যপ্রযোজনীয় জিনিস ক্রয় করেন সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই ছিল না।
আজ শনিবার (২০জুন) থেকে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত ধামরাই পৌরসভা পুরো এলাকা, আমতা, সানোড়া, সূতিপাড়া, সোমভাগ, ধামরাই ও ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
সে মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মাইকিং করা হয়।
কিন্তু আকস্মিকভাবে উপজেলা প্রশাসন লকডাউন স্থগিত করেন শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে । এ দিকে রেড জোন চিহ্নিত হলেও কেন লকডাউন স্থগিত করা হলো- এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের কাছে অসংখ্য ফোন আসে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে, লকডাউনের বিষয়ে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে জেলা সিভিল সার্জনের সমন্বয়ের সমতা ছিল না। সিভিল সার্জনের কোনো অনুমতি না থাকায় শনিবার থেকে লকডাউন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো: সামিউল হক বলেন, রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সরকারিভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত না থাকায় লকডাউন স্থগিত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন