পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঞ্চাশ শয্যার ভবনটির আউটডোর উদ্বোধনের পর থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। এক বছরের অধিক সময় ধরে এ অবস্থা রয়েছে। গত বছরের ১৬ জুন তারিখে পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত পঞ্চশ শয্যার ভবনটির উদ্বোধন করনে। উদ্বোধনের পর থেকে ভবনটির ইন্ডোর চালু হলেও আউটডোর এ পর্যন্ত চালু হয়নি। ঊর্ধ্বতন নজরদারি অভাবে এ অবস্থা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পর্বে নির্মিত নতুন ভবনটির প্রবেশ পথে তালাবদ্ধ রয়েছে। ইন্ডোরের কার্যক্রম চলছে পরিচালিত হচ্ছে বিকল্প পথ দিয়ে। অথচ আউটডোরের রোগীদের সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও রোগীদের কাছ থেকে টিকিটে টাকা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার টাকা আদায় করা হচ্ছে তাদের করা থেকে। নতুন ভবনের আউডোর চালু না হওয়ায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা তাদের নির্ধারিত চেম্বারে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। তাদের পুরাতন ভবনের মেডিকেল অফিসারদের সাথে বসে রোগী দেখতে হচ্ছে। এ কারণে ডাক্তারদের চেম্বারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা তাদের চেম্বারের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করে কিছুদিন পর অন্যত্র চলে যান বলে জানা গেছে। বর্তমানে জুনিয়ার কনসালন্টেন্ড চক্ষু, জুনিয়ার কনসালন্টেন্ড চর্ম, জুনিয়ার কনসালন্টেন্ড মেডিসিনের পদটি শূন্য রয়েছে। এছাড়াও জুনিয়ার ম্যাকানিকের পদটিও শূন্য রয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোহাম্মদ সাঈদুর হক জানান, পঞ্চাশ শয্যার ভবনটির চালুর ব্যাপারে মাসিক মিটিং-এ আলোচনা করছিলেন। পরে তিনি জানতে পারেন বিষয়টি ইএইচডি কৌশলী হেল্থকে জানাতে হবে। তবে ইএইচডি’কে এখনো জানানো হয়নি। জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নতুন এছাড়াও নতুন ভবনের আসবাবপত্রের সমস্যা রয়েছে। তবে নতুন ভবনটির চালুর ব্যাপারে তার সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাই নতুন ভবনটি চালু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন