চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত হিং¯্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে কলেজছাত্র হিমাদ্রী মজুমদার হিমুকে হত্যার মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার। চট্টগ্রাম মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা আদালতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায়ের দিন ধার্য আছে। সন্তান হত্যার বিচার পেতে চার বছর অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ী প্রবীর মজুমদার ও তার স্ত্রী গোপা মজুমদার। তাদের প্রত্যাশা অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদÐ হবে। কেউ যাতে কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্মম এই খুনের নেশায় মেতে না উঠে সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক সাজা চান হিমুর বাবা-মা। ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় শিল্পপতি শাহ সেলিম টিপুর বাড়ির ছাদে হিমুকে একটি কক্ষে আটকে রেখে জার্মানির তিনটি হিং¯্র কুকুর ছেড়ে দেয়া হয়। হিং¯্র কুকুরের আক্রমণে রক্তাক্ত হিমুকে ফেলে দেয়া হয় চারতলার ছাদ থেকে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের দু’টি হাসপাতালে টানা ২৬ দিন যন্ত্রণা শেষে ২৩ মে মৃত্যুবরণ করে হিমু।
এ ঘটনায় তার মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তারা হলেন-জুনায়েদ আহমেদ ওরফে রিয়াদ, তার বাবা শাহ সেলিম টিপু, জুনায়েদের তিন বন্ধু শাহাদাত হোসেন ওরফে সাজু, মাহবুব আলী ওরফে ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওন। রিয়াদ ও শাওন পলাতক; বাকিরা কারাগারে আছেন। পাঁচলাইশ এলাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এ-লেভেলের পরীক্ষার্থী ছিল হিমাদ্রি। হিমাদ্রি মাদকবিরোধী সংগঠন শেকড়ের সক্রিয় সদস্য ছিল। এ নিয়ে প্রধান আসামী শাহ সেলিম টিপুর পুত্র রিয়াদের সাথে তার বিরোধ। এ বিরোধের জের ধরে বাসায় ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় হিমাদ্রিকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন