শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পথই তাদের শেষ আশ্রয়

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনায় ব্যবসা বাণিজ্যে ধ্বস নেমে গিয়েছিলো, কোন রকম বেচা কেনা হত তা দিয়েই পরিবার টিকে ছিলো। আগুনে পুড়ে আমার দোকানের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কান্ন্া চোখে এভাবেই কথা বলছিলেন চা-পাতা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম।

পুড়ে যাওয়া ছাইয়ের দিকে উদাস চোখে তাকিয়ে ছিলেন চা দেকানী মোজাফ্ফর। শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকাই বলে দিচ্ছিল সব হারিয়ে বলার মত কোন ভাষা খুজে পাচ্ছেন না তিনি। গত শনিবার রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী বাজারে লাগা আগুনে রবিউল, মোজাফ্ফরের মত আরো সাতজনের দোকান ও বাড়ি পুড়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। আগুনে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রৌমারী বাজারের সোনালি ব্যাংকের পূর্বপাশে আলম হাজির একটি ফুড গোডাউন ঘরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংবাদ দেয়। দমকল বাহিনীর ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা পুলিশ ও বিজিবির সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আগুন নেভানোর জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় ও ঘটনাস্থলের পাশেই থাকা রৌমারী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।

দীর্ঘক্ষণ পর আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও দোকান মালিক সাজু মিয়ার গোডাউনে থাকা বিভিন্ন কোম্পানীর ১২ লাখ টাকার পণ্য, রাজু মিয়ার টাইলস, আরএফএল সামগ্রী অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার পণ্য, নরেশের মোবাইলের দোকান ও অন্যান্য যন্ত্রাংশসহ ২ লাখ টাকার পণ্য, শইমী ইমরান হিকিমের দোকানে সিসি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ ও পিকনিক কেক ও কমান্ড কয়েলসহ প্রায় ২লাখ টাকার পণ্য, স্বপনের সেলুন ঘরে থাকা মালামাল প্রায় ৫ লাখ টাকার পণ্য, মোজাফ্ফর হোসেন চায়ের দোকানে থাকা মালামাল, চাপাতির এজেন্ট রবিউল ইসলামের চাপাতি ও অন্যান্য মালামালাসহ কনিকা মেম্বাারের বসত বাড়ির আসবাপত্র ও ঘরসহ প্রায় ৪ লাখ টাকা, দোকান ঘর ও বাড়ির মালিক রবিউল আলমের ঘর ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।

রৌমারী দমকলের (কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন) দায়িত্বরত অফিসার ময়নুল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান জানান, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন