স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ অনৈতিক কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুর্নীতির অর্থ যেখানে যাক, যার একাউন্টেই যাবে তা ফেরত আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জঙ্গিবাদে অর্থ দেয়া মানে পানিতে ফেলা। জঙ্গিবাদের পরিণতি কি হতে পারে তা কল্যাণপুরের উদাহরণ থেকে বোঝা যায়। দুর্নীতিরোধে সুশিক্ষা প্রয়োজন মন্তব্য করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতিরোধ করতে হলে মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োজন। প্রাইমারি ও হাইস্কুলে যদি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়, আর শিক্ষকরা যদি সহযোগিতা করেন তাহলে এদেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে। কিন্তু আমরা ক্রমাগত পেছনের দিকে হাঁটছি। এটা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষাই মুক্তির উপায়।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সামাজিক ও আর্থিক সন্ত্রাস থেকে বাঁচাতে পারেন শিক্ষকরা। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা যেন স্কুলে ও কলেজে লেখাপড়া করে সেই সংস্কৃতি তৈরি করতে পারে। সন্তানদের লেখাপড়া করতে বাধ্য করতে শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণিতে কোনো এক বিষয়ে ফেল করা পাস করিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
দুদকের কাজের স্বাধীনতার বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের অবশ্যই স্বাধীনতা রয়েছে। আইনগতভাবেই দুদক স্বাধীন। এখানে আর্থিক স্বাধীনতাও রয়েছে। সরকার থেকে যে অর্থ দেয়া হয়, কিভাবে খরচ করতে হবে সরকার তা কখনোই বলে না। আমরা নিজেরাই এই অর্থ ব্যবহার করি। আমরা স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োগ করতে পারছি। কথা দিলাম না পারলে চলে যাবো।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মহব্বত আলী খান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদা আক্তারসহ ১৭ শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। সভায় দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন