শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শিশু অয়নকে হত্যার দায়ে ৫ খুনির মৃত্যুদ- অর্থদ- ও কারাদ-াদেশ

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : হত্যাকা-ের দীর্ঘ ৩ বছরাধিককাল পর চাঞ্চল্যকর অয়ন হত্যামামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। অপহরণের পর মুক্তিপণ দিতে দেরি হওয়ায় অয়ন নামে ৬ বছরের এক শিশুকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সজীব খান (২২), শাকিল (১৮), ইমরান (২০), শামীম উছমান (১৯) ও রুবেল (১৮) নামে ৫ আত্মস্বীকৃত খুনিকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদ-, এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং ২০১ ধারায় ৭ বছর করে সশ্রম কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক শামীম আহাম্মদ এক জনাকীর্ণ আদালতে এই মৃত্যুদ-, অর্থদ- ও কারাদ-াদেশ ঘোষণা করেছেন। শিশু হাসিবুল হাসান অয়ন নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামের সোহরাব হোসেনের পুত্র। সে নরসিংদী শহরের ব্রাম্মন্দী কে.কে.এম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে লেখা-পড়া করতো। পক্ষান্তরে খুনি আসামী সজীব খান, নরসিংদী সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের ইয়াছিন খান, আসামী শাকিল মিয়া একই গ্রামের খোরশেদ আলম, আসামী ইমরান একই গ্রামের হযরত আলী, আসামী শামীম উছমান একই গ্রামের আবতাব উদ্দিন ভুইয়া এবং আসামী রুবেল একই গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র। তারা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকরী দলের সদস্য। আসামীদের মধ্যে ইমরান পলাতক রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ৫ খুনি আসামীকে ফাঁসির রুজুতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদ- কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ মে সন্ধা ৬টায় শিশু অয়ন বাড়ির পাশে একটি মাঠে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পরও সে ঘরে না ফেরায় তার পিতা-মাতা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করতে থাকে। পরদিন ২৭ মে অয়নদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেনের মোবাইল নম্বরে ফোন করে অপহরণকারীরা জানায় যে, শিশু অয়নকে তারা অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এই খবর পেয়ে অয়নের পিতা সোহরাব হোসেন অপহরণকারীদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে ২৮ মে অপহরণকারীরা তার নিকট ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পিতা সোহরাব হোসেন পুত্র অয়নের জীবন রক্ষা ও তাকে ফিরে পাবার জন্য মুক্তিপণের টাকা দিতে রাজি হয়। এর পর পিতা সোহরাব হোসেন তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে অপহরণকারীদের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে নরসিংদী সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার করলে আসামীরা পুলিশকে জানায় যে, তারা শিশু অয়নকে মেরে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়েছে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ অয়নের লাশ ঘোড়াশাল সড়ক সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন