বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হিসাব মেলানো হলো না তাদের

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

অন্য দিনগুলোর মতই কর্মচারী ও ব্যবসায়িক পার্টনারকে নিয়ে দোকানের হিসেবে করছিলেন মহিবুল ইসলাম নিপু। রাতে হঠাৎ দোকানের সামনে বিকট শব্দে আগুন ধরে দ্রুত আগুন পিছনের দিকে চলে যায়। জ্বালানী তেলের দোকান হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। এ সময় দোকানের সামনে থাকা এক কর্মচারি লাফ দিয়ে বের হয়ে প্রাণে বাঁচলেও নিপু ও কর্মচারী রহমত সেখানেই মারা যান। আহত অবস্থায় ব্যবসায়িক পার্টনার খালেদকে ঢাকায় নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তিনিও মারা যান।

গত সোমবার হাতিয়া উপজেলার বয়ারচরের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে পুড়ে গেছে ২০টি দোকান। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট।

মৃত্যু থেকে বেঁচে যাওয়া শহিদ জানান, রাতে তিনিসহ মোট পাঁচজন ছিলেন নিপুর তেল দোকানে। দোকানের মালিক নিপুসহ তিনজন পিছনে হিসাব করছিলেন। সামনে ছিল দুইজন। হঠাৎ দোকানের সামনে থেকে বিকট শব্দ করে আগুন লেগে গিয়ে দ্রুত আগুন দোকানের পিছনের চলে যায়। এ সময় তিনি আগুনসহ লাফ দিয়ে বাহিরে বের হয়ে অচেতন হয়ে যান। পরে জানতে পারেন দোকানের মালিক নিপু, কর্মচারি রহমত ও খালেদ পুড়ে মারা যান।

স্থানীয়রা বলেন, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং সুবর্ণচর ফায়ার স্টেশনে খবর দেন। দুটি ইউনিটের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে তেল, মুদি, কনফেকশনারি, খাওয়ার হোটেল, মোবাইল দোকানসহ অন্তত ২০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর দোকান গুলোর ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে পুড়ে যাওয়া নিপুর তেল দোকান থেকে নিপু ও রহমত নামে দুইজনের অগ্নিদগ্ধ লাশউদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

চেয়ারম্যান ঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল হালিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিপুর তেল ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তারপরও অগ্নিকান্ডের মূল কারণ, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ফায়ার সার্ভিস একটি তদন্ত কমিটি করেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন