শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কক্সবাজারে ৪৭ রোহিঙ্গাসহ ২,২৮৭ জন করোনা আক্রান্ত

৫ রোহিঙ্গাসহ মৃত্যু ৩৫ : রেড জোন ঘোষণা : শুরু হয়েছে কন্টাক্ট ট্রেসিং

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

কক্সবাজারে যেন কোনোভাবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। রেড জোন, লকডাউন কিংবা সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে পৌর এলাকায় ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ করার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। গত ২৬ জুন থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা যায়, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), কক্সবাজার পৌর আ.লীগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘কক্সবাজার পৌর এলাকায় করোনা সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এটি কমানো যাচ্ছে না। তাই প্রথমে কন্টাক্ট ট্রেসিং-এর পরিকল্পনাটি মাথায় আসে। এরপর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও পৌর আ.লীগ সবার সাথে বসে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
মাঠ পর্যায়ে কন্টাক্ট ট্রেসিং-এর কাজ করার জন্য পৌর আ.লীগের ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক নেয়া হয়। যাদের কয়েকদিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। অবশেষে গত শুক্রবার সকাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে এই কন্টাক্ট ট্রেসিংটি পৌরসভায় করা হচ্ছে। যদি সুফল পাওয়া যায়, তবে এটি অন্যান্য উপজেলায়ও করা হবে। প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ম্যাপিং-এর তথ্য মতে, ৪৭ জন রোহিঙ্গাসহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই হাজার ২৮৭ জনে। এদের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১,০৫৩ জন, রামুতে ১৯০ জন, উখিয়ায় ২৬৪ জন, টেকনাফে ১৯৫ জন, চকরিয়ায় ৩১১ জন, পেকুয়ায় ৯৫ জন, মহেশখালীতে ৯০ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৪২ জন।

এছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছে ৪৭ জন রোহিঙ্গা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৬১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এদের মধ্যে পাঁচ জন রোহিঙ্গাও রয়েছে।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সব ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এখন নতুন করে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে ১২টি ওয়ার্ডে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তারা গত ৮ জুন থেকে ২০ জুন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে ব্যক্তিদের ডাটা তৈরি করবেন। এই তালিকা অনুযায়ী আক্রান্ত ব্যক্তি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে। এই প্রক্রিয়া পৌর এলাকায় করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিভাগের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন