রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপসর্গে মৃত্যু ৯

বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন চলছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

সারাদেশে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সাতক্ষীরায় ৪ জন; চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের রাউজানে ২ জন করে এবং মানিকগঞ্জে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের অনেক এলাকায় লকডাউন চলছে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে রাজশাহী এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এলাকায় পরনিত হয়েছে। প্রথম অবস্থানে আছে বগুড়া জেলা, সেখানে আক্রান্ত ২ হাজার ৭১৩ জন। রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে মারা গেছে ২ জন। এনিয়ে বিভাগে শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৯৯০ জন। গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮টি জেলার মধ্যে নওগাঁ জেলায় সর্বোচ্চ ৫৭ জন শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বগুড়ায় ৪৪, রাজশাহীতে ৩৯ জন, সিরাজগঞ্জ ৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫, নটোরে ৩ ও পাবনায় ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের ৫টি ল্যাবে করোনা আক্রান্তের শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরমধ্যে রাজশাহী জেলায় দুইটি, বগুড়া জেলায় দুইটি ও সিরাজগঞ্জে একটি। এই ৫টি ল্যাবে বিভাগের ৮টি জেলার সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তের শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফাবনার ল্যাবটি চালুর পর্য্যায়ে রয়েছে।
জানা গেছে, বিভাগের আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায়। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭১৩ জন। পরের অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী জেলা। সেখানে শনাক্তের সংখ্যা ৫১৩ জন। পাবনায় শনাক্ত হয়েছে ৪৩০ জন। এচাড়া সিরাজগঞ্জ জেলায় ৩৬৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯ জন, নাটোরে ১৫৮ জন, নওগায় ৩৮৪ জন এবং জয়পুরহাটে ৩২৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পুনরায় অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াতে আরো একজনের মৃত্যু ও দক্ষিণাঞ্চলে ৬ জেলায় নুতন করে ১২৯ জন আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যা আগের দিন ছিল ১১০ জন। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার অতিক্রম করে এখন ২ হাজার ৬০৯। মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪ জনে। তবে এ সময়ে বরিশালে ১৩, বরগুনাতে ৯ ও ভোলাতে একজনসহ মোট ২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্যদফতর জানিয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে মোট সুস্থ কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৬৮৩ বলে জানা গেছে।
মহানগরীতেই আক্রান্ত প্রায় ৩৩ জন। যা শুক্রবারে ছিল ২১ ও বৃহস্পতিবারে ৩০। এ জেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজারের কাছে। যারমধ্যে মহানগরীতেই আক্রান্ত প্রায় ১৩শ। জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। মহানগরীতে মৃতের সংখ্যা ১১। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যাই যাথারীতি শীর্ষে রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক কর্মীরাও রয়েছেন আক্রান্তের তালিকায়। এখনো প্রতিদিনই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষের আক্রান্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। আর স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনাতে আরো ২৭ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪। মোট মৃত্যু হয়েছে দুজনের। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যুসহ নুতন করে আক্রান্ত হয়েছে ২১ জন। ফলে এ জেলাটিতে মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৯৪। পটুয়াখালীতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এ জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৬। মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। অপরদিকে, ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ছিল ১জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৩। মৃত্যু হয়েছে ৮জনের। বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করেনা ওয়ার্ডে গতকাল সকাল পর্যন্ত ১১৬ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। যার মধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই সংখ্যাটা ৫৫। হাসপাতালের এ দুটি ওয়ার্ডে এপর্যন্ত ৬০৬ জন ভর্তি হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪০৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। যারমধ্যে করোনা ওয়ার্ডেই মারা গেছেন ৩১জন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত ৫৫ জনের মধ্যে ৭ জনের রক্তের নমুনার ফল এখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে ব্যক্তিগত সহকারী করেনা সংক্রমিত হওয়ায় বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটেসহ করোনা উপসর্গে ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে করোনা সংক্রমিত হয়ে গতকাল ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের বাসিন্দা নান্নু মিয়াজী রোববার দুপুর দেড়টায় মারা যান। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে কয়েকদিন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা টেস্টের জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলায় গিয়াস উদ্দিন সরকার করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার রাত ১০ টায় মারা যান। ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে ছোট হলদিয়া গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহ সরকারের ছেলে গিয়াস উদ্দিন সরকার।
চাঁদপুরে দু'দফা প্রাপ্ত রিপোর্টে নতুন করে আরো ৪২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে চাঁদপুর সদরে ১৪ জন, মতলব উত্তরে ১ জন, মতলব দক্ষিণে ৭ জন, হাজীগঞ্জে ৭ জন, কচুয়ায় ১ জন, হাইমচরে ৭জন এবং ফরিদগঞ্জে ৫জন রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত হাজীগঞ্জের শামসুন্নাহারের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছে। চাঁদপুর জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪৭ জন। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫৬জন। গতকাল সকালে ও দুপুরে ১০৬টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ৪২টি পজেটিভ। এদিকে, ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনসহ ২ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে একদিনে মারা গেছেন আরও ৩ জন। এই নিয়ে মরণঘাতি এই করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১১৩। নতুন করে মারা গেছেন রূপগঞ্জের দুই জন ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১ জন। রূপগঞ্জে মৃত্যুবরণ করেছেন এক নারী ও এক পুরুষ। নাসিক এলাকায় মারা গেছেন ২৬ বছরের এক তরুণী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত আরও ৪২ জন নিয়ে এই ভাইরাসে জেলায় আক্রান্ত হলেন মোট ৫ হাজার ২১ জন। গতকাল সকালে জেলা স্বাস্থ্যা বিভাগ এই তথ্য জানায়।
সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মারা গেছেন ৬১ জন ও আক্রান্ত ১ হাজার ৭৫৮ জন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ২২ জন ও আক্রান্ত ১ হাজার ১৯৪ জন। বন্দরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭২ ও মারা গেছেন ৩ জন। এছাড়া আড়াইহাজারে আক্রান্ত ৪৬৮ ও মারা গেছেন ৪ জন, সোনারগাঁয়ে আক্রান্ত ৪৪৪ জন ও মারা গেছেন ১৩ জন এবং রূপগঞ্জে মারা গেছেন ১০ জন ও ৯৮৫ জন আক্রান্ত।
জেলা স্বাস্থ্যা বিভাগের তথ্য মতে এই পর্যন্ত জেলায় মোট ২৪ হাজার ৩৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৩২ জনের। জেলায় এই পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থা হয়েছেন ২ হাজার ৪৭১ জন। তার মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৯৬৫ জন, সদর উপজেলার ৭৫৯ জন, রূপগঞ্জের ১৯২ জন ও আড়াইহাজারের ৩১৫ জন, বন্দরের ৬৬ ও সোনারগাঁয়ের ১৭৪ জন।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, ভোলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৩৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে ভোলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬০ জনে। নতুন আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে ভোলা সদর উপজেলার ১০ জন, বোরহানউদ্দিনে ৫ জন, লালমোহলে ৯ জন, তজুমুদ্দিনে ৩ জন ও ১০ জন চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল সকালে সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানান। চরফ্যাশন ও দৌলতখান উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ৮ জন চিকিৎসক, ১৯ স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মকর্তাসহ পুলিশের ৯ সদস্য, ৮ জন কোস্টগার্ড সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা ১০ জন ও ১২ জন শিক্ষক রয়েছে। এছাড়া চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন কর্যালয়ের এক জন, সিভিল সার্জন কর্যালয়ে দুই জন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জন রয়েছে।
ভোলায় করোনা আক্রান্ত ২৬০ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ১১৫ জনের মধ্যে সুস্থ ৩৪ জন। দৌলতখানে আক্রান্ত ২৩ জনের মধ্যে সুস্থ ৫ জন। বোরহানউদ্দিনে আক্রান্ত ৩১ জনের মধ্যে সুস্থ ৪ জন। লালমোহনে আক্রান্ত ২৯ জনের মধ্যে সুস্থ ৮ জন। চরফ্যাশনে আক্রান্ত ৩৯ জনের মধ্যে সুস্থ ১৫, মনপুরা উপজেলায় আক্রান্ত ১১ জনের মধ্যে সুস্থ ৭ এবং তজুমদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে সুস্থ ২ জন। আক্রান্তরা নিজ নিজ উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে আছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে আরও অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে ভর্তির আধাঘণ্টা পর তিনি মারা যান। বিষয়টি জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস। পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে রবিউল ইসলাম।
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের মারকা গ্রামের বাহার আলী গাজীর ছেলে গ্রাম ডাক্তার ওমর ফারুক। তিনি শনিবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নমুনা দেন। রাতে মারা যান। একই দিন সকালে আরো একজন গ্রাম ডাক্তার মারা যান। তিনি পুরাতন সাতক্ষীরার মাওলানা হাবিবুর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে শাহেদ। তার নমুনা সংগ্রহ করে কয়েকদিন আগে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও রিপোর্ট আসেনি। এছাড়া, রাতে সুলতানপুরের কাজী আব্দুল মতিন মারা গেছেন। তারও নমুনা পাঠানো হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হলো।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে নতুন আরো ৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৯জন, রাজৈরে ৩০জন ও কালকিনিতে ৪জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২ জনসহ এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৫ জন। গত ১৮ জুন সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যাওয়া সদর উপজেলার রাস্তা ইউনিয়নের প‚র্ব রাস্তি গ্রামের আলমগীর বেপারীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এনিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১০জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৬জন মারা গেলেও এদের কোনো পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে নেই। ৭০৯ জনের মধ্যে উপজেলা ভিত্তিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে- সদর উপজেলায় ২৪১জন, রাজৈর উপজেলায় ২১৯জন, কালকিনি উপজেলায় ১৩২জন এবং শিবচর উপজেলায় ১০৮জন। রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তেরর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০৯জনে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান বিদ মো. রিয়াজ মাহমুদ।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত জেলা থেকে ৫ হাজার ৫৪৪ জনের নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে। ফলাফল পাওয়া গেছে ৪হাজার ৮৭৭জনের। বাকী ৬৬৭ জনের মধ্যে গতকাল ২১৮ জনের ফলাফল আসে। এর মধ্যে ৪৩ জনের পজেটিভ। নতুন আক্রান্তসহ ৪৪৪ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এসে হারুন নামে ৬০ বছরের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তার বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চৌহাট এলাকায়। গতকাল সকাল ৮টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। কিন্তু জরুরি বিভাগ থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়ার আগেই সে মারা যায়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন নার্স, ২ জন চিকিৎসক ও একজন সাংবাদিক রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৫৬৮ জনে। এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানিকগঞ্জে মো. আতিয়ার রহমান নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নার্স ও পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে আরও ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বেলা ১২ টায় তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ নিয়ে এ উপজেলায় মোট ২৬ জন রোগী করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের শরণখোলায় চিকিৎসকসহ নতুন করে তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এরা হচ্ছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সালের স্ত্রী ডা. আকলিমা আক্তার শিল্পী, সোনালী ব্যাংক রায়েন্দা বাজার শাখার কর্মকর্তা বিশ্ব নাথ ও রাজাপুর গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের স্ত্রী শাহিনুর বেগম। গতকাল সকালে তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট শরণখোলায় এসে পৌছালে এ খরব জানা যায়।
রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাতকানিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী রাউজানের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। গত শনিবার সকালে নগরীর চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রায় ১০ দিন ধরে নজরুল অসুস্থ ছিলেন।
এদিকে, নোয়াপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নোয়াপাড়া পথেরহাটে আবদুল জলিল নামের ল²ীপুরের এক ভাসমান ও বেওয়ারিশ ব্যক্তির লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা শেষে গত দাফন করা হয়েছে। কিছুদিন থেকে তিনি অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখানো হয়। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুরে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার করোনা পজিটিভ। সে মির্জাপুর গোড়াই নিউটেক্স ডাইং এন্ড প্রিন্টিং লি. এ সিনিয়র প্রোডাকশন অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
মংলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মংলায় আরও ৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে ৫ দিনের ব্যবধানে এখানে ৮ জনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। উপজেলা সাব-রেজিস্টি অফিস লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন