লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের দেড় বছর বয়সী শিশু ফারহানা আক্তার রাহিমার হত্যাকারী বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার রাতে বুকে ব্যাথা উঠলে তাকে জেলা কারাগার থেকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, নিজ মেয়ে হত্যা মামলার আসামি ফয়েজের হঠাৎ বুকে ব্যাথা উঠলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আসামি ফয়েজ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
সূত্র জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলতি বছরের ৫ মে ফয়েজ তার শিশু মেয়ে রাহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন এলাকা ঝোঁপের ভেতর লুকিয়ে রাখে। একইদিন রাতে তিনি নিজেই থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ৮ মে মধ্যরাতে মেয়ের লাশটি ঝোঁপের ভেতর থেকে উদ্ধার করে নিজবাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। ৯ মে সকালে নিজেই থানা পুলিশকে অবহিত করেন, তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে টয়লেটের টাংকিতে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গত ১১ মে সকালে পুলিশ শিশুটির বাবা ফয়েজকে আটক করে। পরে মেয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রাশেদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। একইদিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে বাবা ফয়েজ জবানবন্দি দেয়। আদালতের বিচারক ছিলেন রায়হান চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন