শিশুদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সঠিক চিকিৎসা জরুরী। নয়তো রোগ জটিল হয়ে তার দৈনন্দিন কার্যক্রম ও মেধার বিকাশ ব্যাহত হতে পারে। এটোপিক ডার্মাটাইটিস বা অসহ্য চুলকানিসহ চর্মরোগ শিশুদের দুই বছর বয়স পর্যন্ত বেশি বেশি হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২ বছর পর্যন্ত রোগটি থাকতে পারে। রোগটি বারবার যাতে না হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুনের মধ্যে চলতে হবে।
প্রথমত যদি বাচ্চাকে ঠিকমতো ঢেকে রাখতে পারি, ফুলহাতা জামাকাপড় ঠিকমতো পরাই, তবে সে পোকামাকড়ের কামড় থেকে রক্ষা পাচ্ছে, ধুলাবালি থেকেও রক্ষা পাচ্ছে। আবার মায়েরা যদি বাচ্চাকে খেলতে যাওয়ার আগে একটু হাতে-পায়ে তেল দিয়ে দেই, তাহলে ভালো হয়।
সাধরনত বয়ষ্কদের চামড়ায় তেল তৈরি করার গ্রন্থি পর্যাপ্ত। কিন্তু বাচ্চাদের এটি নেই। তাই তেল শুধু যে আমাদের সৌন্দর্যের জন্য তা নয়, তেল বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াকে ঠেকিয়ে রাখছে। এটা এক ধরনের সুরক্ষা দিচ্ছে। তাই মায়েরা যদি একটু তেল দিয়ে দেন খেলতে যাওয়ার আগে বা বাইরে যাওয়ার আগে, তাহলে বাচ্চা আরেকটু ভালো থাকতে পারে।
খাবারের ব্যাপারে যদি কোনো বিষয় খেয়াল করি যে দুধ খাওয়ার কারণে বা কোন মাছ-মাংস খাওয়ার কারণে চামড়ায় চুলকানি বেশী হয়, যদি নির্ধারণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে সেটা এড়িয়ে যেতে পারি। আগেকার দিনে সমস্যাগুলো কম ছিল। এখন বুকের দুধ যাঁরা খাওয়াচ্ছেন না, গরুর দুধের ওপর নির্ভর করছেন তাঁদের বাচ্চাদের ভোগান্তি বেশি থাকবে। তাই মায়ের বুকের দুধের বিকল্প কিন্তু কোনো কিছু হবে না। টিনের দুধ খাওয়ানো হোক বা যে দুধই হোক, সমস্যাগুলো বেড়ে যেতে পারে।
সব খেয়াল করার পরও যদি দেখা যায় ভালো হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে একজন চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাঃ জেসমিন আক্তার লীনা
সহকারী অধ্যারক (ডার্মাটোলজী)
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড, ঢাকা
অরোরা স্কিন এন্ড এয়েসথেটিকস
পান্থপথ, ঢাকা
০১৭২০১২১৯৮২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন