আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় পঞ্চগড়ে স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে স্বামীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর আগে ঘাতকদের নামও বলে গেছেন নিহত ওই ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকায় লোকহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম জহুর আলী (৬৫)। তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকায়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত ৩ বছর ধরে জহুর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা বেগমের সাথে আটোয়ারী উপজেলার সাতখামার এলাকার ইদ্রিস আলীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়ে জহুর আলী। ইদ্রিস কৌশলে জাহেদা ও জহুর আলীকে বাংলাবান্ধা এলাকায় পাথর ভাঙার কাজ দেয়ার কথা বলে গত বুধবার বাংলাবান্ধায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নেয় তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে জহুর আলী তার স্ত্রী ও ইদ্রিসকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জহুর আলীর গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ইদ্রিস ও জাহেদা। জহুর আলীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তাকে গলায় ছুরিকাঘাত অবস্থায় দেখতে পায়। তখনো কথা বলছিলো জহুর। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করে। ওই ভিডিওতে ইদ্রিস ও তার স্ত্রী জাহেদা খাতুন তার গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে জহুর জানান।
স্থানীয়রা তাকে প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, পরকিয়ার জেরেই এই হত্যাকান্ডে ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছি। হত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন