শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম, চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কুলুরচর-বেপারীপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
এ অবস্থায় প্রায় ৫০টি পরিবারের ২ শতাধিক মানুষ পরিবার-পরিজন, জিনিসপত্র ও ছাগলসহ ওই এলাকার পাশ্ববর্তী জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধ এবং রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছে।
এই এলাকার শতাধিক একর জমির পাট ও সবজীর আবাদ পানার নিচে তলিয়ে গেছে।
কুলুরচর-বেপারীপাড়ার মেম্বার জাফর বলেন, গত ১০ দিন ধরে পানি প্রবেশ করায় কুলুরচর-বেপারীপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাড়িঘরে পানিতে ডুবে যাওয়ার অনেকেই বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা দরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, বন্যা আর উজান থেকে আসা ঢলে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তা এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য কিছু ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ করে তা সুবিধাজনক সময়ে বিতরণ করার জন্য চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন