শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বেনাপোল কাস্টমসে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি নতুন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মারুফুর রহমান জানান, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেন। ওই সময়ে ৩০ জুন পর্যন্ত আদায় হয়েছিল ২৯৪০ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়। এসময় ভারত থেকে আমদানি হয় বিভিন্ন ধরনের ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ মেট্রিকটন পণ্য। জানা গেছে, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন সমস্যা, আমদানি পণ্যের ওপর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক হারে শুল্ককর বৃদ্ধিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বেশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সে উন্নয়নও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সেখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় দ্বিগুণ। বন্দর পণ্যাগারে স্থান সংকটে দিনের পর দিন আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকদের খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক সময় জায়গা না পেয়ে এসব মূল্যবান পণ্য অনেকটা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে খালাস করতে হয়। রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে এসব পণ্যের গুণগতমান নষ্ট ও চুরি হচ্ছে। পণ্যের রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছে অন্য বন্দরে। এতে কমছে আমদানি বাণিজ্য, ঘাটতি হচ্ছে রাজস্ব।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ল্যান্ডপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পণ্যের ওপর ট্যারিফ মূল্যে পণ্য খালাস নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ভারত থেকে কেনা পণ্যের ইনভয়েজ মূল্য মানা হচ্ছে না। প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে শুল্কায়ন করা হলে বৈধ পথে আমদানি কমে চোরাইপথে আমদানি বেড়ে যাবে। এতে ডলার পাচারেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খান বলেন, নতুন বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাস্টমস কর্মকর্তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন। আমি যোগদানের পর থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আদায়ে আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। তবে বন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটলে অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করা সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন