শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নীলফামারীতে বিলুপ্ত ছিটমহলের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশীরা

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় একটি পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নাগরিক থাকলেও হঠাৎ করে তারা সদ্য বিলুপ্ত ভারতীয় ছিটমহল ২৯ বড় খানকি খারিজা গিতালদহের বাসিন্দা সেজে এখন সব সুযোগ-সুবিধার ভাগিদার হয়েছেন। জানা যায়, জেলার ডিমলা উপজেলার টোপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বসবাস করে আসছেন। বিলুপ্ত ভারতীয় ছিটমহলের নতুন বাংলাদেশী নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা সরকার কর্তৃক দেয়ার কারণে বর্তমানে তারা সকলে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা সেজেছেন। উক্ত গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমানের পুত্র মিজানুর রহমান, যার এনআইডি নং-৭৩১১২২৮৪৩২৫৯৯। মমিনুর রহমান যার এনআইডি নং-৭৩১১২২৮০০০০২৯। আলিম যার এনআইডি নং-৭৩১১২২৮০০০০৩০। অপর সদস্য সেলিম। মিজানুর রহমানের স্ত্রী মাজেদা বেগম যার এনআইডি নং-৭৩১১২২৮৪৩৪২০৫। মমিনুর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছে। অপরদিকে মিজানুর রহমান বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে ১৯৯৬ সাল থেকে ডিমলা তিতপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অপরদিকে মিজানুরের স্ত্রী ২০০৬ সাল থেকে পশ্চিম খড়িবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরিরত। পরিবারটির সকল সদস্য দেশের প্রচলিত আইনে নাগরিকত্বের সকল সুবিধা ভোগ করে আসছেন। গেল বছর থেকে বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা ও তাদের বসবাসের জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার আওতায় এনেছেন সরকার। এ ঘোষণার পর এ পরিবারটি বিলুপ্ত এ ছিটমহলের বাসিন্দা হিসাবে এসকল সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। মিজানুরের পরিবার সরকারের এসব সুযোগ-সুবিধার লাভে বিলুপ্ত ছিটমহল বড় খানকি খারিজা গিতালদহ ছিটের বাসিন্দা সেজে জায়গা-জমি কবুলিয়ত এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই উক্ত ছিটের বাসিন্দা হিসেবে মিজানুর রহমানসহ তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ করে জমি কবুলিয়ত দেয়া হয়। মালিক মিজানুর রহমান, মমিনুর রহমান, আলিম ও সেলিম সবার পিতাÑ হামিদুর রহমান। তাদের দেয়া হয়েছে ৪টি পাকা ল্যাট্রিন ও ৪টি সেলাই মেশিনসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। এলাকাবাসী জানান, একই ব্যক্তি দুই জায়গার বাসিন্দা হয়েছে। তারা নিজেদের তথ্য গোপন করে শুধুমাত্র সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা নেয়ার জন্যই নিজেদের তথ্য গোপন করে ছিটমহলের বাসিন্দা সেজে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করে যা তথ্য গোপন আইনে দÐনীয় অপরাধ বলে জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন